করোনায় অর্থনীতিতে কী ক্ষতি ঘটাবে?

জি. মুনীর | Mar 15, 2020 05:56 pm
করোনায় অর্থনীতিতে কী ক্ষতি ঘটাবে?

করোনায় অর্থনীতিতে কী ক্ষতি ঘটাবে? - ছবি : সংগ্রহ

 

করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে এক মহা আতঙ্ক। তবে এ আতঙ্ক অহেতুক, তেমনটি বলার সুযোগ নেই। কারণ, এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে এর ভয়াবহতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে- এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার মানুষের সংখ্যা এক লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে মারা গেছে পাঁচ হাজার ১১১ জন। আর আক্রান্তদের মাঝে আরোগ্য লাভ করেছে ৭০ হাজার ৭২৭ জন। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৯১ শতাংশই আক্রান্ত হয়েছে সামান্য। আর ভয়াবহ মাত্রায় আক্রান্ত বাকি ৯ শতাংশ। তবে স্বস্তির কথা- আক্রান্তদের মাঝে চিকিৎসা শেষে ৯৩ শতাংশই সুস্থ হয়ে বাড়িঘরে ফিরে যেতে পেরেছে। বাকি ৭ শতাংশ মারা গেছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ পাঁচটি হচ্ছে চীন, ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কেরিয়া ও স্পেন। এই দেশগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৮১ হাজার, ১৮ হাজার, ১২ হাজার, আট হাজার ও পাঁচ হাজার। বাংলাদেশে প্রথমে জানা তথ্য মতে, ইতালি থেকে আসা তিনজন বাংলাদেশী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। এর মধ্যে একজন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে নিজবাড়িতে ফিরে গেছেন। তবে আরো দু’জন এই লেখা তৈরি করার সময় অসুস্থ রয়েছেন একই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।

এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ব্যাপকতা দেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সংক্রমণকে ‘বৈশ্বিক মহামারী’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কারণ, এরই মধ্যে বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশে এই মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর এই ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে চীনের উহান প্রদেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ট্রেডেস বলেছেন, যদি দ্রুত সন্দেহভাজন রোগীকে আলাদা, পরীক্ষা, রোগীর অবস্থান শনাক্ত ও চিহ্নিত করার সাথে সাথে চিকিৎসা না করা হয়; তাহলে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তার এই বক্তব্যের মধ্যে দিকনির্দেশনা রয়েছে করোনা মোকাবেলায় আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগকে কী ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে হবে।

উল্লিখিত পরিসংখ্যান থেকে সহজেই অনুমেয়, যথাসময়ে যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পারলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত বিপুলসংখ্যক রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। তাই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রয়োজন সরকারের জোরালো কর্মসূচির পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করে তোলা। একইভাবে জনগণকেও নিজ দায়িত্বে এ ব্যাপারে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সচেতন হতে হবে। এ ব্যাপারে সব ধরনের গণমাধ্যমের রয়েছে অনন্য ভূমিকা। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ, সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যম ও জনগণ তাদের করণীয় সম্পর্কে অবহিত থাকলেও প্রয়োজন সচেতন কর্মসূচি নিয়ে সবার এগিয়ে আসা।

‘কান টানলে মাথা আসা’র মতো এ ক্ষেত্রে অন্যতম বিবেচ্য হলো অর্থনীতি। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই মহামারী গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করবে। ইতোমধ্যেই বিশ্ব অর্থনীতিসহ আমাদের জাতীয় অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে- একমাত্র প্রবাসী আয় ছাড়া অর্থনীতির সব সূচকই নিম্নমুখী। করোনাভাইরাসের প্রভাবে গত মাসে বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি ব্যাপকভাবে কমে গেছে।

চীনে পণ্যের রফতানি কমেছে অস্বাভাবিকভাবে। রাজস্ব আয়ে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তাতেও নতুন করে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। কাঁচামালের অভাবে অনেক কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না। চীন হচ্ছে বাংলাদেশের কাঁচামালের সবচেয়ে বড় উৎস। বাংলাদেশের আমদানির এক-পঞ্চমাংশই আসে চীন থেকে, যার পরিমাণ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল পাঁচ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। সহজেই অনুমেয়, আমদানি-রফতানি স্থবির হয়ে পড়ায় কাঁচামালের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং হবে বাংলাদেশের পণ্য উৎপাদন।

জানা গেছে, চীন থেকে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমলেও এত দিন কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়নি। আগের মজুদ ও স্থানীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করে কারখানা সচল রেখেছেন উদ্যোক্তারা। তবে গত সপ্তাহ থেকে অনেক কারখানার মালিক উৎপাদনের সময় কমিয়ে এনেছেন। চীনের কিছু রফতানিকারক নতুন করে রফতানি করতে শুরু করলেও তা এখনই পাচ্ছেন না কারখানার মালিকরা। চলতি মাসের শেষে ও এপ্রিলের প্রথম দিকে তা পাওয়া যেতে পারে। তবে গত ২৯ মাসের মধ্যে গত মাসে সবচেয়ে কম রফতানি হয়েছে চীনে।

বেশ কিছু প্রবাসী বাংলাদেশী রয়েছেন ইউরোপের কয়েকটি দেশ। ইউরোপের এসব দেশে, বিশেষ করে ইতালিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে অনেক বাংলাদেশী ইতোমধ্যে তাদের চাকরি হারিয়েছেন। এদের অনেকেই ঘরে আটকে পড়ে আছেন কর্মহীনভাবে এবং একই সাথে, এই ভাইরাসে সংক্রমণের ভয়ে। এরা এখন বাংলাদেশে তাদের পরিবারের কাছে কোনো টাকা-পয়সা পাঠাতে পারছেন না। অথচ অনেকের পরিবার তাদের ওপরই নির্ভরশীল। এই মহামারীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইতালিতেই রয়েছেন দুই লাখ বাংলাদেশী।

এর মধ্যে ৫০ হাজারই অনিবন্ধিত, যাদের তেমন কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অনেক ইউরোপীয় দেশ অভূতপূর্ব নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে আছে : অনেক কল-কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে; নিষিদ্ধ করা হয়েছে পর্যটন; বন্ধ করা হয়েছে দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোরাঁ, অপরিহার্য নয় এমন কোম্পানি কিংবা বিভাগ। এর ফলে অনেক দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীরা নানা দুর্ভোগে আছেন, তেমনি দুর্ভোগে আছেন দেশে থাকা তাদের পরিবারের সদস্যরাও। এর ফলে কমে যাচ্ছে আমাদের প্রবাসী আয়ও।

এরই মধ্যে ইতালি থেকে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশীকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে। তাদের কেউ কেউ জানিয়েছেন- ইতালিতে যারা বৈধভাবে চাকরিরত ছিলেন, তারা চাকরিচ্যুতির ফলে হয়তো কিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন। কিন্তু যারা অবৈধভাবে সেখানে অবস্থান করে নানা ধরনের কাজ করে আয়রোজগার করছিলেন, তাদের খালি হাতেই দেশে ফিরতে হবে।

বাংলাদেশের প্রধান রফতানি বাজার ইউরোপের অনেক দেশে মানুষের চলাচল সীমিত হওয়ায় কমে গেছে বিক্রি। অনেক শহরেই তৈরী পোশাকের দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রফতানিতে। ক্রয়াদেশ দেয়া বেশ কিছু চালান আপাতত না পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন সেখানকার ক্রেতারা। তাদের কেউ কেউ পুরো ক্রয়াদেশের সব পণ্য আপাতত বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেছেন।

তৈরী পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক একটি পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই তারা কমপক্ষে ২০ ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া এমন সিদ্ধান্তের তথ্য রফতানিকারকরা তাকে অবহিত করেছেন। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে রফতানিকারকদের জন্য বড় ধরনের তারল্য সঙ্কটের আশঙ্কা করছেন তিনি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরুর দিকে আমদানি কমে গেলেও এবার রফতানি কমতে শুরু করায় সমস্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় রাজস্ব আয়েও বিরূপ প্রভাব পড়বে।

সম্প্রতি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) এক বিশ্লেষণে জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির হার ১.১ শতাংশ কমে যেতে পারে। এর অর্থ, এই ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষতি হতে পারে ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে চাকরি হারাতে পারে আট লাখ ৯৪ হাজার ৯৩০ জন মানুষ। উল্লেখ্য, এডিবির এই বিশ্লেষণটি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার আগে, চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে। এই বিশ্লেষণে আরো বলা হয়, করোনাভাইরাসের বিরূপ প্রভাবে এ অঞ্চলের আরো কয়েকটি দেশের জিডিপির হার সঙ্কুচিত হতে পারে। এই বিশ্লেষণ মতে, এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি হারে জিডিপি কমবে মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় এবং এসব দেশে জিডিপি হার কমবে যথাক্রমে ৮.৯৬, ১.৫৭ ও ১.৫৭ শতাংশ করে। অপর দিকে এই জিডিপির হার এসব দেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম হারে কমবে ভুটান, বাংলাদেশ ও ভারতে এবং এই তিন দেশে কমবে যথাক্রমে ০.৭৭, ১.১০ ও ১.১০ শতাংশ।

দেখা গেছে- বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। এসব দেশে কমে গেছে অভ্যন্তরীণ নানা চাহিদা, পর্যটকদের যাতায়াত কমে গেছে, কমে গেছে ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর। হোটেল ও বিমান পরিবহন ব্যবসায় পড়েছে বিপর্যয়ের মুখে।

চীন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান, ব্যবসায়িক অংশীদার দেশ। অনেকেই মনে করতে পারি, অতীতের অনেক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি এবং এখনো বাংলাদেশে যেহেতু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ততটা জোরালো নয়, তাই অর্থনীতিতে এর প্রভাব খুব বেশি পড়বে না। কিন্তু এবারে বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে। কারণ, এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি যে দেশটিতে সেটি হচ্ছে চীন; আর এই চীনের সাথে আমাদের ব্যবসায়-বাণিজ্য খুবই ব্যাপক। তাই চীনের প্রভাব আমাদের ওপর সমূহ আপতিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আমাদের ওভেন ফেব্রিক ম্যাটেরিয়ালের বড় একটা অংশ আসে চীন থেকে।

এসব পণ্য যদি সময়মতো আমাদের দেশে না পৌঁছে, তবে কিছু তৈরী পোশাক রফতানির ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে বাধ্য। বাংলাদেশ চীন থেকে প্রচুর পরিমাণে মোটরসাইকেল ও এর খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি করে থাকেন। চীন থেকে আমরা অনেক কিছুই আমদানি করি। আসলে চীন এমন একটি দেশ, যে দেশ থেকে আমদানি করে না, এমন দেশের নাম খুঁজে পাওয়া যাবে না। উদাহরণ দিয়ে বলা যায় ভারতের কথা। ভারত-চীন যুদ্ধের পর থেকে ভারত চীনকে ‘শত্রু দেশ’ বলেই ভাবে। কিন্তু কেউ ভারতে গেলে দেখতে পাবেন, ভারতের অনেক শহরে বিভিন্ন চীনা পণ্যের ছড়াছড়ি। চেয়ারম্যান মাও সে তুংয়ের পর থেকে চীন বদলে গেছে। শিক্ষা, উদ্ভাবন ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলে চীন হয়ে উঠেছে এক বিশ্ব অর্থনৈতিক শক্তি। তাই বিশ্বের প্রায় সব দেশই চীনের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক রাখতে বাধ্য হচ্ছে। সেই চীনের করোনার বিরূপ প্রভাব কোনো দেশের ওপর পড়বে না, তেমনটি ভাবা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। বাংলাদেশকে সে কথা মাথায় রেখেই অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, চীন বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য এক ব্যবসায়িক অংশীদার দেশ। চীন হচ্ছে বাংলাদেশের কাঁচামালের সবচেয়ে বড় উৎস। বাংলাদেশের আমদানির এক-পঞ্চমাংশই আসে চীন থেকে, যার পরিমাণ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল পাঁচ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। সহজেই অনুমেয়, চীনের সাথে আমদানি-রফতানি স্থবির হয়ে পড়লে, আমাদের অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।

শিরোনামে উল্লেখ করেছি, করোনাভাইরাস মোকাবেলা হবে দ্বিমাত্রিক। অর্থাৎ স্বাস্থ্যবিষয়ক পদক্ষেপের পাশাপাশি আর্থিক কর্মসূচি নিয়েও আমাদের মাঠে নামতে হবে অবিলম্বে। এই দু’টি ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে আমরা জাতি হিসেবে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব ঠেকাতে পারব না।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us