রোজায় ৫ সমস্যার সমাধান

আরশিয়া | Apr 26, 2020 09:15 pm
রোজায় ৫ সমস্যার সমাধান

রোজায় ৫ সমস্যার সমাধান - সংগৃহীত

 

প্রত্যেক মুসলমানের চরম প্রার্থিত পবিত্র মাহে রমজান সমাগত। রোজাই হলো সংযমের অনুশীলনের জন্য একটি প্রকৃত সময় এ সময় আমাদের আহার গ্রহণের সময় পরিবর্তন সাথে সাথে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আহার পরিহার করার জন্য কিছু কিছু স্বাস্থ্যসমস্যা হতে পারে তা উদাহরণ ও সমাধানসহ দেয়া হলো

বুক জ্বালাপোড়া : দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার জন্য পাকস্থলীতে এসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এই সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত, তৈলাক্ত খাদ্য, ধূমপান এবং ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (কফি) পরিহার করলে এ ধরনের সমস্যা থেকে ভালো থাকা যাবে।

মাথাব্যথা : রোজার সময় পানিশূন্যতা, নিদ্রাহীনতা, ক্ষুধা প্রভৃতি কারণে এ সময় মাথাব্যথা হতে পারে। পরিমিত পরিমাণ স্বাস্থ্যখাদ্য এবং যথেষ্ট পরিমাণ পানি বা তরলজাতীয় খাদ্য গ্রহণে এ সমস্যার প্রতিকার হতে পারে।

পানিশূন্যতা : রোজাদারদের জন্য পানিশূন্যতা আরেকটি বড় সমস্যা। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। শ্বাস-প্রশ্বাসে, নিঃসরিত ঘাম এবং প্রস্রাবের সাথে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়ার জন্য এই সমস্যাটি তৈরি হয়। রাতে যথেষ্ট পরিমাণ পানি এবং দিনে অতিরিক্ত দৈহিক পরিশ্রম পরিহার করে এ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য : পানিস্বল্পতা এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য রোজাদারদের জন্য একটি স্বাস্থ্যসমস্যা হতে পারে। প্রচুর পরিমাণে পানি এবং আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া যেমন ফল, শাকসবজি খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যেতে পারে।

স্থূলস্বাস্থ্য : রোজায় দিনের বেলায় আহার পরিহার করার পরও অনেকেরই হ্রাসের পরিবর্তে ওজন বৃদ্ধিও হতে পারে। এর কারণ ইফতারি ও সেহরির সময় উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ, এ ক্ষেত্রে আমাদের খাদ্যতালিকার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। যেমন অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাদ্য, মিষ্টি, কোমলজাতীয় পানির পরিহার করে শাকসবজি, ফল, ফলের রস বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত।

রোজায় দাঁত ও মুখের যত্ন নেবেন কিভাবে

রমজান মাস সংযমের মাস হলেও দেখা যায়, এই মাসে আমাদের একটু বেশিই খাওয়া-দাওয়া হয়। আর তাই এই মাসে আমাদের মুখ ও দাঁতের যত্নে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিচে রমজান মাসে দাঁত ও মুখের যত্নে করণীয়গুলো সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো

ইফতারের পর ভালোভাবে কুলকুচি করে ফেলতে হবে, যাতে দাঁতের ফাঁকে খাদ্যকণা না লেগে থাকে এবং নিয়মমাফিক দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

তারাবির নামাজের পর (ঘুমানোর আগে) দাঁত ভালোভাবে ব্রাশ ও ফ্লসিং করতে হবে।

শেষ রাতে সেহরি খাওয়ার পর দাঁত ভালোভাবে ব্রাশ করতে হবে।

যাদের মুখে ও দাঁতের সমস্যা আছে বলে মনে হয় যেমন দাঁতে বা মাঢ়িতে ব্যথা

(পালপাইটিস/জিনজিভাইটিস), মাঢ়ি ফুলে যাওয়া বা মাঢ়ি থেকে রক্ত বা পুঁজ পড়া (পাইওরিয়া) ইত্যাদি মাহে রমজান শুরু হওয়ার আগেই সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারলে ইনশাআল্লাহ নিশ্চিন্তে রোজা রাখতে পারবেন।

রোজাদার ব্যক্তি মুখ-দাঁতের সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসাসহায়তা নিতে পারবেন। যেসব চিকিৎসাব্যবস্থায় রক্তক্ষরণের আশঙ্কা (রক্ত গড়িয়ে পড়া) থাকে, যেমন (দাঁত পরিষ্কার বা স্কেলিং), দাঁত উঠানো (এক্সট্রাকশন) তা ইফতারের পর (সন্ধ্যার পর) করা উত্তম।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us