বোরকা পরে ছেলের সাথে ক্রিকেট খেলা : কী বলে ইসলাম

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Sep 18, 2020 02:40 pm
বোরকা পরে ছেলের সাথে ক্রিকেট খেলা : কী বলে ইসলাম

বোরকা পরে ছেলের সাথে ক্রিকেট খেলা : কী বলে ইসলাম - ছবি : সংগৃহীত

 

প্রশ্ন : শামীমা আক্তার : সম্প্রতি বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মায়ের আপাদমস্তক ঢাকা বোরকা পরে কিশোর সন্তানের সাথে ক্রিকেট খেলার ছবি ভাইরাল হয়েছে। এই মায়ের কাজটিকে কিভাবে দেখা হবে?

উত্তর : মাওলানা লিয়াকত আলী : মা-বাবার উচিত সন্তানদের একান্তে সময় দেয়া। তাদের খেলার সঙ্গী হতে পারলে তাদের কল্যাণের পথে ধরে রাখা সহজ হয়। এটা তাদের মেধা বিকাশের জন্য অনেক বেশি সহায়ক। তবে এখানে একটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো, নিজের সন্তানকে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তোলার চিন্তা একজন আদর্শ মুসলিমের জন্য কোনো অবস্থাতেই সমীচীন নয়। কারণ খেলাধুলা এমন কোনো বিষয় নয়, যা আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতে মৌলিক কল্যাণকর। এটা নিছক বিনোদন, একটি নির্দিষ্ট সীমার বাইরে যার অনুমতি দেয়নি ইসলাম। এ ধরনের বিষয়কে গুরুত্বের সাথে নেয়া বা জীবনের টার্গেট বানিয়ে নেয়া ইসলামের মূল স্পিরিটের সাথে বেমানান। এ জন্যই বিজ্ঞ মনীষীরা ক্রিকেট, ফুটবল ইত্যাদি খেলাকে পেশা বানাতে উৎসাহিত করেন না।

তেমনি মা-বাবাকে সন্তানের খেলাধুলায় সময় দিতে হবে ঘরোয়া বা পারিবারিক পরিসরে। কোনো খোলা ময়দানে বা জনসম্মুখে গিয়ে একজন মা দৌড়াদৌড়ি করবেন এবং সন্তানকে খেলায় সময় দেবেন, সেটি যদি তার নিয়মিত কাজ হয় এবং তিনি যদি সবসময় এমনটি করে থাকেন তাহলে সেটা কিছুতেই উচিত হবে না। কারণ একজন মুসলিম নারীর চালচলন বা তার বেশভূষা অন্য সাধারণ নারীদের মতো হলে চলবে না।

তবে আলোচিত মা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার শিশু তাকে পীড়াপীড়ি করছে, তার সঙ্গে কেউ সময় দেয়ার মতো নেই। তাই তিনি পর্দার মধ্যে থেকে তাকে সময় দিয়েছেন। এটা হতেই পারে। তবে এটাকে নিয়ম বানিয়ে নেয়া একজন মুসলিম নারীর জন্য সুবিবেচনার কাজ হবে না।

প্রশ্ন : আমি সেলস মার্কেটিংয়ে জব করি, চাকরির কারণে আমি অনেক সময়ই একদিনেই ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করি বাইকে। এরকম পরিস্থিতিতে কি আমি নিজেকে ভ্রমণকালে মুসাফির ধরে নেবো? আর কসর পড়ব?

উত্তর : আপনি যদি সকালেই এমন ইচ্ছা করেন যে, আজ ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে গমন করবেন, তাহলে নিজে এলাকার বাইরে গিয়ে নামাজ কসর করবেন, যদি একাকী নামাজ পড়েন। আর যদি রাস্তায় কোনো মসজিদে ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করেন তাহলে কিন্তু পূর্ণ নামাজই পড়তে হবে। কিন্তু যদি কাছাকাছি এলাকার মধ্যে বিভিন্ন সড়ক ও গলিতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার কারণে ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন, তাহলে আপনি মুসাফির হবেন না
ফতোয়া বিভাগ, আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

ইমতিয়াজ হোসাইন মাহি : আমাকে একটি জিনিস কেনার জন্য একটি ইসলামী এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হলো। কিন্তু আমি জিনিস না কিনে সেই টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করলাম। এখন এনজিওর টাকা পরিশোধের সময় ইসলামী ব্যাংকিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী লাভসহ টাকা পরিশোধ করলে সেটা কি হালাল হবে?

মাওলানা লিয়াকত আলী : ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী লাভসহ ফেরত দেয়ার শর্তে জিনিস কেনার কথা বলে ঋণ নেয়া যায় না। নিছক কাগজ-কলমে হিসাব দেখিয়ে নয়, বরং ঋণদাতা ব্যাংক বা এনজিও বাস্তবেই সেই জিনিসটি কিনে তারপর তা ঋণগ্রহীতার কাছে লাভের বিনিময়ে বিক্রি করতে পারে। ঋণগ্রহীতাকে কিনে নেয়ার দায়িত্ব দিয়ে তার হাতে নগদ টাকা দেয়া এবং মেয়াদ শেষে লাভসহ সেই টাকা ফেরত নেয়া শরিয়তসম্মত নয়। সুতরাং নগদ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তার অতিরিক্ত যে অর্থ পরিশোধ করা হবে, তা সুদ বলে গণ্য হবে, যা হালাল নয়। শরিয়তের বিধান পরিপালনে চালাকি করা উচিত নয়। ঋণদাতা বা গ্রহীতা যে-ই শরিয়তের বিধান নিয়ে চাতুর্যের আশ্রয় নেবে, তার আয় হালাল থাকবে না।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us