জিন্নাহর রোগের কথা গেলে কি ভারত-ভাগ আটকানো যেত?

অন্য এক দিগন্ত | Jan 22, 2021 09:06 am
মোহনদাস করমচাদ গান্ধীর সাথে মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ

মোহনদাস করমচাদ গান্ধীর সাথে মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ - ছবি : সংগৃহীত

 

পাকিস্তান ও ভারতের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছিলেন ব্রিটিশ ভারতের সর্বশেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন। পরে তিনি ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেলও হয়েছিলেন। এই প্রক্রিয়ায় আরো এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ, যাকে বলা হয় কায়েদ-এ-আজম। ভারত বিভাজনের প্রক্রিয়া নিয়ে যখন আলোচনা চলছিল তখন জিন্নাহর দূরারোগ্য একটি রোগের কথা গোপন রাখা হয়েছিল। যদি এই রোগের কথা জানাজানি হয়ে যেত তাহলে কি দেশভাগ আটকানো যেত? বিভিন্ন বই পড়ে এই প্রতিবেদনে সেই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে:

মাউন্টব্যাটেন আর জিন্নাহর প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ৪ এপ্রিল।

আর পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল।

তাদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হওয়ার ঠিক আগে এক ফটোগ্রাফার লর্ড এবং লেডি মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে জিন্নাহর একটা ছবি তুলতে চেয়েছিলেন।

সংবাদমাধ্যমের সামনে বলার জন্য জিন্নাহ আগে থেকেই একটা লাইন মনে মনে তৈরি করে এসেছিলেন। তার মাথায় ছিল যে হয়তো লেডি মাউন্টব্যাটেনকে মাঝখানে রেখে একদিকে তিনি এবং অন্যদিকে লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ছবি তোলা হবে।

ওই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তিনি ওই 'পাঞ্চলাইনটা' তৈরি করেছিলেন।

মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর জীবনীকার স্ট্যানলি ওয়াপার্টকে ১৯৭৮ সালে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে লর্ড মাউন্টব্যাটেন বলেছিলেন, "যখন আমি মি. জিন্নাহকে অনুরোধ করলাম যে উনি যেন আমার আর এডউইনার [লেডি এডউইনা মাউন্টব্যাটেন] মাঝখানে দাঁড়ান, তখন তিনি অত তাড়াতাড়ি নতুন কোনো লাইন ভেবে বার করতে পারেননি বোধ হয়। তাই যে লাইনটা বলবেন বলে ভেবে এসেছিলেন, সেটাই বলে ফেললেন, - "আ রোজ বিটুইন টু থর্নস' - অর্থাৎ দুই কাঁটার মাঝে একটি গোলাপ।"

ওই সাক্ষাতকারের বেশ কয়েক মাস পরে লর্ড মাউন্টব্যাটেন ২ জুন লন্ডন থেকে দিল্লি এলেন। 'নর্থ কোর্ট' ভবনে ভারতীয় রাজনীতির রথী-মহারথীদের সঙ্গে এক বৈঠক ডাকলেন - দেশভাগের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্য।

লর্ড মাউন্টব্যাটেন নেতাদের জানিয়েছিলেন, তারা যেন মধ্য রাতের আগেই নিজের নিজের মতামত তাঁ জানিয়ে দেন।

বৈঠক থেকে জিন্নাহ বেরিয়ে যাওয়ার পরে লর্ড মাউন্টব্যাটেন খেয়াল করেছিলেন যে মিটিং চলার সময়ে সামনে রাখা একটা কাগজে কিছু আঁকিবুঁকি কেটেছেন তিনি।

কাগজে রকেট, টেনিস র‍্যাকেট, এইসব আঁকা ছিল আর বেশ বড় অক্ষরে লেখা ছিল দুটি শব্দ - 'গভর্নর জেনারেল'। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে তিনি নিজের জন্য কোন পদের কথা ভাবছিলেন।

ভারতের বৈদেশিক গুপ্তচর এজেন্সি রিসার্চ এন্ড অ্যানালিসিস উইং বা 'র'-এর প্রাক্তন বিশেষ সচিব ছিলেন তিলক দেভেশর।

তার বই, 'পাকিস্তান এট দা হেল্ম'- এ মি. দেভেশর লিখেছেন, "ভারত আর পাকিস্তানের স্বাধীনতার মাস খানেক আগে লর্ড মাউন্টব্যাটেন জিন্নাহকে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন যাতে তিনি দুই দেশের যৌথ গভর্নর জেনারেল পদটা গ্রহণ করেন। তার যুক্তি ছিল, যদি জিন্নাহ শুধুই পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল হন, তাহলে তার ক্ষমতা সীমিত হয়ে যাবে।"

দেভেশরের কথায়, "তবে জিন্নাহ লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে বলেছিলেন, আপনি সেটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। আমার প্রধানমন্ত্রী সেটাই করবেন, যেটা আমি বলব। আমি তাকে উপদেশ দেব, আর সেটা পালন করা হবে।"

তার চেয়ার যেন মাউন্টব্যাটনের ওপরে থাকে
জিন্নাহ চেয়েছিলেন ক্ষমতা হস্তান্তরের সময়ে তার বসার চেয়ারটা যেন লর্ড মাউন্টব্যাটেনের থেকে কিছুটা উঁচুতে থাকে। ব্রিটিশ সরকার অবশ্য এই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছিল।

দেভেশর বলছেন, "ইংরেজরা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছিল যে জিন্নাহ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল তখনই হবেন, যখন ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন তাকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। তার আগে পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক পদই নেই। তাই তার চেয়ার লর্ড মাউন্টব্যাটেনের চেয়ারের ওপরে রাখা অনুচিত হবে। জিন্নাহ কিছুটা ক্ষুব্ধ হলেও ইংরেজদের এই যুক্তি মেনে নিয়েছিলেন।"

'স্টেনোগ্রাফারের সাহায্যে পাকিস্তান তৈরি করেছি'
এটা একটা ঐতিহাসিক সত্য যে, জিন্নাহ নিজে বিশ্বাস করতেন যে তিনিই পাকিস্তান তৈরি করেছেন।

'ফ্রম প্ল্যাসি টু পাকিস্তান'-গ্রন্থে হুমায়ূন মির্জা লিখছেন, "পাকিস্তানের এক সময়কার প্রতিরক্ষা সচিব ইসকান্দার মির্জা, যিনি পরে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন, তিনি জিন্নাহকে বলেছিলেন, যে মুসিলম লীগ পাকিস্তান দিল, সেই দলটাকে যেন অবহেলা করা না হয়।"

সঙ্গে সঙ্গে মি. জিন্নাহ পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন, "কে বলল মুসলিম লীগ আমাদের পাকিস্তান দিয়েছে? আমি পাকিস্তান বানিয়েছি, আমার স্টেনোগ্রাফারের সাহায্যে।"

আমি জানি না কীভাবে নামাজ পড়তে হয়
করাচীতে জিন্নাহর দিনটা শুরু হত সকাল সাড়ে আটটার দিকে। একটা বড় টেবিলে তার জন্য ফাইলবন্দী কাগজপত্রের একটা স্তূপ রাখা থাকত।

পাশেই থাকত 'ক্রেভিন-এ' নামের সিগারেটের একটা বাক্স। তাঁর কাছে সুগন্ধি কিউবান সিগার থাকত। গন্ধে তাঁর ঘর সবসময়ে ম-ম করত।

জিন্নাহ নিজেকে মুসলমানদের রাজনৈতিক নেতা বলেই মনে করতেন। ধর্মীয় নেতা কখনও হতে চান নি তিনি। সেকারণে তাকে বেশ কয়েকবার ধর্ম-সঙ্কটেও পড়তে হয়েছে।

প্রখ্যাত লেখক খালিদ লতিফ গৌবা এক জায়গায় লিখেছিলেন যে তিনি জিন্নাহকে কোনো একটা মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

"আমি জানি না কীভাবে নামাজ পড়তে হয়," জবাব দিয়েছিলেন মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ। গৌবা বলেছিলেন, "মসজিদে অন্যরা যা করবে, আপনিও তাদের দেখাদেখি সেটাই না হয় করবেন।"

জিন্নাহর সহকারী ছিলেন মুহাম্মদ করিম চাগলা, যিনি পরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন।

তিনি আত্মজীবনী 'রোজেস ইন ডিসেম্বর'-এ লিখেছেন, "একবার আমি আর জিন্নাহ ঠিক করেছিলাম বোম্বের বিখ্যাত রেস্তোরাঁ 'কর্ণগ্লিয়াজ'-এ খেতে যাব। উনি দু কাপ কফি, পেস্ট্রি আর শূয়োরের মাংসের সসেজ অর্ডার করলেন। আমরা বেশ তারিয়ে তারিয়ে খাচ্ছিলাম। হঠাৎই এক বয়স্ক দাড়িওয়ালা মুসলমান ব্যক্তি ওখানে হাজির হলেন, তার সঙ্গে একটা বছর দশেকের বাচ্চা ছেলে।"

"ওরা জিন্নাহর বেশ কাছাকাছি বসেছিলেন। হঠাৎ খেয়াল করলাম, ওই বাচ্চা ছেলেটি জিন্নাহর সামনে রাখা সসেজের দিকে হাত বাড়াচ্ছে আর তারপরেই ছোট একটা টুকরো তুলে নিজের মুখে পুরে দিল। আমি এই বাচ্চাটার কাণ্ড দেখে বেশ মজা পাচ্ছিলাম।"

একটু পরে ওরা চলে গেলেন। তখন জিন্নাহ আমার ওপরে বেশ রেগে গিয়ে বললেন, "চাগলা, তোমার লজ্জা হওয়া উচিত। ওই বাচ্চা ছেলেটাকে শূয়োরের মাংসের সসেজ খেতে দিলে তুমি?"

জিন্নাহর অসুস্থতা
খুব কম লোকেই জানেন যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই জিন্নাহর শরীরে বাসা বেঁধেছিল এক মারণ রোগ।

তার চিকিৎসক ডা. জাল প্যাটেল এক্সরে প্লেটে চোখ রেখেই দেখতে পেয়েছিলেন ফুসফুসে ছোপছোপ দাগ। কিন্তু তিনি সবার কাছ থেকে গোপন রেখেছিলেন ব্যাপারটা।

তিলক দেভেশরের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, যদি এটা জানাজানি হয়ে যেত যে জিন্নাহর আয়ু আর খুব বেশি দিন নেই, তাহলে কি দেশভাগ আটকানো যেত?

দেভেশরের বক্তব্য ছিল, "ডাক্তার প্যাটেল খুবই পেশাদার চিকিৎসক ছিলেন। সেজন্যই কারও কানেই পৌঁছয় নি জিন্নাহর অসুস্থতার কথাটা। তবে আমার ধারণা লর্ড মাউন্টব্যাটেন জানতেন, সেজন্যই স্বাধীনতার তারিখটা ১৯৪৮ এর ফেব্রুয়ারি থেকে মাস ছয়েক এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অতদিন দেরী করলে যদি মি. জিন্নাহ বেঁচে না থাকেন! যদি গান্ধী, নেহেরু বা সর্দার প্যাটেলদের কাছে জিন্নাহর অসুস্থতার খবর পৌঁছাত, তারাও হয়তো নিজেদের নীতি বদলে ফেলে বিভাজনের জন্য আরো বেশি সময় চাইতেন।"

"পাকিস্তান আন্দোলন আর পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠা একজন মাত্র ব্যক্তির ওপরেই নির্ভরশীল ছিল - তিনি হলেন জিন্নাহ। লিয়াকত আলি আর মুসলিম লীগের অন্য নেতাদের সেই ক্ষমতাই ছিল না যে পাকিস্তানের দাবি নিয়ে এগিয়ে যাবেন," বিবিসিকে বলছিলেন দেভেশর।

শেষ সময়টায় খুব কষ্ট পেয়েছেন জিন্নাহ
১৯৪৮ এর মার্চ মাস থেকেই জিন্নাহর স্বাস্থ্য বেশ খারাপ হতে শুরু করেছিল। বোম্বে থেকে তার এক পুরনো বন্ধু জামশেদ করাচী গিয়েছিলেন জিন্নাহর সঙ্গে দেখা করতে।

সরকারি আবাসের বাগানে একটা চেয়ারে বসে ঢুলছিলেন জিন্নাহ। চোখ খুলে পুরনো বন্ধুকে দেখতে পেয়ে জিন্নাহ ফিসফিস করে বলেছিলেন, "জামশেদ, আমি খুব ক্লান্ত। ভীষণ ক্লান্ত।"

তখন তার বয়স ৭২ বছর। পেশায় ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় মামলায় জয় পেয়েছেন তত দিনে।

জীবিত থাকার লড়াইতেও নিজের সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী গান্ধীকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন। গান্ধী তত দিনে নিহত হয়েছেন নাথুরাম গডসের গুলিতে।

তাই শেষ সময়টায় কিছুটা আরাম করার সুযোগ ছিল জিন্নাহর। তবে শেষ দিনে খুব কষ্ট পেতে হয়েছে তাকে।

১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জিন্নাহকে কোয়েটা থেকে ভাইকিং বিমানে চাপিয়ে করাচি নিয়ে আসা হয়।

ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত পাকিস্তানের জনক - কায়েদ-এ-আজম মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর ওজন তখন মাত্র ৪০ কিলোগ্রাম।

করাচীর মৌরিপুর বিমান বন্দরে তার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন তার সামরিক সচিব। তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি। সামরিক সচিব ছাড়া অন্য কেউ বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন না।

যে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে গভর্নর হাউসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, মাঝপথে সেটার পেট্রল শেষ হয়ে যায়।

তিলক দেভেশর বলছেন, "এটা ভাবা যায় যে পাকিস্তানের জন্মদাতা, গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর ওই রকম শারীরিক অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সের তেল শেষ হয়ে গেল মাঝপথে! সামরিক সচিব অনেক চেষ্টা করে ঘণ্টা-খানেক পরে একটা অ্যাম্বুলেন্স সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সেই জিন্নার পালস কমে আসছিল। সেই রাতেই তিনি মারা যান।"

ভনভন করছে মাছি
ওই অ্যাম্বুলেন্স যাত্রার বর্ণনা দিয়েছেন ফাতিমা জিন্নাহ, তাঁর 'মাই ব্রাদার' বইতে।

ফাতিমা লিখেছেন, "অ্যাম্বুলেন্সের পিছনের দিকে আমি আর কোয়েটা থেকে আমাদের সঙ্গে যে নার্স এসেছিলেন, সেই ডনহেম বসেছিলাম। পিছনে আসছিল গভর্নর জেনারেলের নতুন ক্যাডিলাক লিমুজিন। চার-পাঁচ মাইল চলার পরেই হঠাৎ একটা ঝাঁকুনি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটা দাঁড়িয়ে গেল। সেদিন করাচিতে প্রচণ্ড গরম ছিল। জিন্নাহর শরীরের ওপরে কত যে মাছি ঘুরছিল!"

"অন্য অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করতে করতে আমি আর ওই নার্স ডনহেম পালা করে খবরের কাগজ দিয়ে বাতাস করছিলাম জিন্নাহর ওপরে। ক্যাডিলাকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না, তার স্ট্রেচারটা ওই গাড়িতে ঢুকত না। পাশেই রিফিউজিদের শত শত ঝুপড়ি ছিল। ওই রিফিউজিরা হয়তো জানতেই পারেনি, যে মানুষটা তাদের নিজের দেশ দিল, সেই 'কায়েদ' তাদের মাঝেই অসহায় অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে আছেন। আমার জীবনের সবথেকে লম্বা এক ঘণ্টা বোধহয় ওটাই ছিল," লিখেছিলেন ফতিমা জিন্নাহ।

শেষমেশ সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে গভর্নর জেনারেল হাউসে পৌঁছলেন তারা সবাই। কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়েছিলেন জিন্নাহ।

তারপর চোখ খুলে ফিসফিস করে ডেকেছিলেন, "ফাতি...."

তারপরেই মাথাটা সামান্য ডানদিকে হেলে পড়ল আর তার চোখ বন্ধ হয়ে গেল। রাত ১০টা ২০ মিনিটে কায়েদ-এ-আজম মুহম্মদ আলি জিন্নাহ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

একটা সাধারণ কফিনে পরের দিন করাচিতেই তাঁকে দাফন করা হয়।

ইতিহাসের এক অসাধারণ আর রহস্যে ভরা মহারথীর পার্থিব শরীর আজও সেই জায়গাতেই কবর দেওয়া আছে। শুধু পরে তার ওপরে গোলাপি পাথরে তৈরি এক সুদৃশ্য গম্বুজওয়ালা মকবরা তৈরি করা হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us