শচিন-ধোনি-শেওয়াগকে আউট করা সেই পাক তারকাই এখন ট্যাক্সিচালক

অন্য এক দিগন্ত | Jun 16, 2021 07:32 am
শচিন-ধোনি-শেওয়াগকে আউট করা সেই পাক তারকাই এখন ট্যাক্সিচালক

শচিন-ধোনি-শেওয়াগকে আউট করা সেই পাক তারকাই এখন ট্যাক্সিচালক - ছবি : সংগৃহীত

 

জীবনে উত্থান, পতন থাকে। তাই বলাই হয়ে থাকে, সেরা সময়ের প্রত্যাশা করার সঙ্গে খারাপ সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকাও দরকার। পাকিস্তানের জাতীয় দলের তারকা আর্শাদ খান সম্ভবনাময় তারকা ছিলেন। দ্রুত গতিতে উত্থান ঘটেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তবে এখন সেসব থেকে অনেকটাই দূরে তিনি।

পাকিস্তানের স্পিন ডিপার্টমেন্টের একসময় যিনি নেতৃত্ব দিতেন, তিনি এখন পেটের ভাত জোগাড় করার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় ট্যাক্সি চালান। খ্যাতির দুনিয়া থেকে বহু দূরে সরে গিয়েছেন তিনি।

২০০০ সালে ভারত-পাকিস্তান সিরিজে একাই কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। শচীন তো বটেই বিধ্বংসী বীরেন্দ্র শেওয়াগকেও হার মানতে হয়েছিল আর্শাদ খানের স্পিনের সামনে। শচীন-শেওয়াগদের ঘূর্ণি বলে বিধ্বস্ত করা তারকা স্পিনারই নাকি সিডনির রাস্তায় ট্যাক্সি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

কিছু দিন আগেই আর্শাদ খানের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে সিডনিতে এক ক্রিকেট ভক্তের ট্যাক্সি চড়ার সময়। তিনিই হঠাৎ আবিষ্কার করেন, যার ট্যাক্সিতে তিনি চড়ে বসেছেন, তিনিই সেই বিখ্যাত আর্শাদ খান।

পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুঙ্খানুপুঙ্খ সেই ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি লেখেন, যে ড্রাইভারের গাড়িতে আমরা চড়েছিলাম, কথায় কথায় জানতে পারি, সে পাকিস্তানি। সিডনিতে থাকেন বর্তমানে। ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে খেলার সময় হায়দরাবাদে বেশ কয়েকবার লাহোর বাদশা দলের হয়ে খেলতে আসার কথা বলে। কৌতূহলবশত তার পুরো নাম জিজ্ঞাসা করার পরেই তার মুখ পুরোপুরি দেখতে পাই। তখনই বুঝতে পারি, কেন তার মুখ এত চেনা চেনা লাগছিল। তারপর আমি করমর্দন করে ট্যাক্সি থেকে নেমে পড়ি।

২০০৫ সালে পাকিস্তানের ভারত সফরের সময়ে খ্যাতির তুঙ্গে পৌঁছন আর্শাদ খান। পেশোয়ারের এই তারকা ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ খেলেই ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। পাক তারকা অফস্পিনারের উইকেট শিকারের তালিকায় রয়েছেন এমএস ধোনি, যুবরাজ সিং, মোহম্মদ কাইফ, হরভজন সিংয়ের মতো বড় বড় নামও।

দ্বিপক্ষীয় সেই সিরিজে একের পর এক তারকাকে আউট করেন তিনি। আরবাব নিয়াজ স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটান আর্শাদ খান। রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষেই শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন তিনি। অধুনালুপ্ত আইসিএল (ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ) খেলায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেটাই তার ক্রিকেট কেরিয়ারের দ্রুত পতন ঘটিয়ে দেয়। জীবন সত্যিই অনিশ্চিত!

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

হারতে ভুলে যাওয়া কোয়েটার জয়

টানা হারে ক্লান্ত ছিল কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স। অবশেষে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল দলটি। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ব্যাট-বলে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে লাহোর কালান্দার্সকে ১৮ রানে হারিয়েছে কোয়েটা।

মঙ্গলবার আবুধাবিতে আগে ব্যাট করতে নেমে কোয়েটা করে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান। জবাবে ১৮ ওভারে ১৪০ রানে গুটিয়ে যায় লাহোরের ইনিংস। ৮ ম্যাচে দ্বিতীয় জয় এটি কোয়েটার। অবস্থান এখনো সবার নিচে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে পাঁচ জয় ও তৃতীয় হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে লাহোর কালান্দার্স।

জয়ের জন্য খেলতে নেমে শুরু থেকেই ধারাবাহিক বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে লাহোর। দুই ওভার বাকি থাকতেই দলটি অল আউট ১৪০ রানে।

দলের হয়ে ২৭ বলে ৪৬ রান করেন টিম ডেভিড। ফকর জামান ১২, জিশান আশরাফ ১৬ রান করেন। অধিনায়ক সোহেল আখতার, মোহাম্মদ হাফিজ, বেন ডাঙ্ক ছুতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। বল হাতে কোয়েটার হয়ে উসমান ও খুররম তিনটি, হাসনাইন ও নওয়াজ দু’টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কোয়েটার হয়ে টপ অর্ডারের প্রায় সবাই কম বেশি রান পেয়েছেন। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন ওপেনার জ্যাক ওয়েদারাল্ড। ৪১ বলের ইনিংসে তিনি হাকান আটটি চার ও একটি ছক্কা।

অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ২৭ বলে থাকেন ৩৪ রানে অপরাজিত। তিন চারের পাশাপাশি তিনি হাকান একটি ছক্কা। ১৮ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আজম খান। তিনি হাঁকান পাচ চার ও এক ছক্কা।

এছাড়া ক্যামেরন দেলপোর্ট ১০, হাসান খান ১২ রান করেন। বল হাতে লাহারের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন জেমস ফকনার। মোহাম্মদ হাফিজ ও রশিদ খান পান একটি করে উইকেট।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us