নিউজিল্যান্ড নয়, ভারতই এখন চোকার্স?

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Jun 24, 2021 02:26 pm
জিতেও বিনয়ী কেন উইলিয়াম, কোহলির সাথে দেখা যাচ্ছে তাকে

জিতেও বিনয়ী কেন উইলিয়াম, কোহলির সাথে দেখা যাচ্ছে তাকে - ছবি সংগৃহীত

 

আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে বড় টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ব্যর্থতা কাটিয়ে চোকার্স তকমা ঘোচাল নিউজিল্যান্ড। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েন কেন উইলিয়ামসনরা।

যদিও শেষ ৬টি আইসিসি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল অথবা ফাইনালে ভারতের হার প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে কোহলিদের নিয়ে। তবে কি চোকার্স তকমা এঁটে বসছে টিম ইন্ডিয়ার কপালে? দেখে নেয়া যাক আইসিসি ইভেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের ফলাফল। চোখ রাখা যাক শেষ ৬টি আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের ব্যর্থতার দিকেও।


ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে নিউজিল্যান্ড
১. ১৯৭৫ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ- সেমিফাইনালে হার।
২. ১৯৭৯ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ- সেমিফাইনালে হার।
৩. ১৯৯২ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ- সেমিফাইনালে হার।
৪. ১৯৯৯ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ- সেমিফাইনালে হার।
৫. ২০০৭ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ- সেমিফাইনালে হার।
৬. ২০১১ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ- সেমিফাইনালে হার।
৭. ২০১৫ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ- ফাইনালে হার (রানার্স)।
৮. ২০১৯ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ- ফাইনালে হার (রানার্স)।

টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড
১. ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ- সেমিফাইনালে হার।
২. ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপ- সেমিফাইনালে হার।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল ও ফাইনালে নিউজিল্যান্ড
১. ২০০০ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি- চ্যাম্পিয়ন।
২. ২০০৬ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি- সেমিফাইনালে হার।
৩. ২০০৯ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি- ফাইনালে হার (রানার্স)।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড
১. ২০১৯-২১ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ- চ্যাম্পিয়ন।

শেষ ৬টি আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের ফলাফল
১. ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপ- ফাইনালে হার (রানার্স)।
২. ২০১৫ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ- সেমিফাইনালে হার।
৩. ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপ- সেমিফাইনালে হার।
৪. ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি- ফাইনালে হার (রানার্স)।
৫. ২০১৯ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ- সেমিফাইনালে হার।
৬. ২০১৯-২১ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ- ফাইনালে হার (রানার্স)।

যে ৫টি কারণে হারল ভারত

ম্যাচ ড্র করে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ থাকলেও শেষমেশ নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হেরে বসে টিম ইন্ডিয়া। নিউজিল্যান্ড টেস্টের প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে।

একনজরে দেখে নেয়া যাক, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের পরাজয়ের পাঁচটি কারণ

১. টসে হার : টস হারাটা ম্যাচের ফলাফলে কোথাও একটা প্রভাব ফেলে। ক্রমাগত বৃষ্টি ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় ইংল্যান্ডের পিচে যেকোনো ক্যাপ্টেন টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে চাইবেন। কেন উইলিয়ামসনও তাই করেন। ফলে ভারতকে প্রথম ইনিংসে তুলনায় কঠিন পিরিস্থিতিতে ব্যাট করতে হয়। কোহলি ম্যাচের শুরুতেই জানিয়েছিলেন যে তিনিও টস জিতলে প্রথমে বোলিং নিতেন।

২. টিম কম্বিনেশন : জোড়া স্পিনারে দল সাজানো এবং প্রথম একাদশে পাঁচজন বিশেষজ্ঞ বোলার নেয়াটাও কোথাও একটা ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব ফেলে। প্রথম ইনিংসে অশ্বিন ১৫ ওভার ও জাদেজা ৭.২ ওভার বল করেন। দু'জনে মিলে তিনটি উইকেট নেন। তবে আবহাওয়া অনুযায়ী একজন বাড়তি পেসার খেলালে বুমরাহর ব্যর্থতা ঢাকা যেতে পারত। অন্ততপক্ষে হনুমা বিহারীর মতো একজন একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান খেলালে কঠিন পিচে ব্যাটিং লাইনআপ আরও মজবুত হতো।

৩. প্রকৃতির বাধা : বারবার বৃষ্টি ও মন্দ আলোয় খেলা বন্ধ হওয়া ভারতের প্রথম ইনিংসে প্রভাব ফেলে। ব্যাটসম্যানদের বারবার মাঠ ছাড়তে হয় এবং ফিরে এসে পুনরায় ব্যাট করতে হয়। এতে সেট হওয়ার কাজ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের তেমনই কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় প্রথম ইনিংসে।

৪. ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা : বড় পার্টনারশিপ গড়তে না পারা যদি ভারতের বড় ইনিংস গড়ার পথে প্রতিবন্ধকতা হয়ে থাকে, তবে ভুল শট নির্বাচন করে উইকেট দিয়ে আসাও টিম ইন্ডিয়ার অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে শেষ দিনে ম্যাচ নিরাপদ না করেই বড় শট খেলতে চাওয়ার মাশুল দিতে হয়েছে পন্তদের। তাছাড়া প্রথম ইনিংসে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সেট হয়েও উইকেট দিয়ে এসেছেন। কেউই নিজেদের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি।

৫. বুমরাহর ব্যর্থতা : বুমরাহর উইকেট তুলতে না পারা ভুগিয়েছে ভারতকে। অভিজ্ঞ ইশান্ত ও শামি উইকেট পেলেও দলের সেরা পেসার বুমরাহ উইকেটের মুখ দেখেননি। এমন বড় ম্যাচে দায়িত্ব ভাগ করে নিতে ব্যর্থ হন তিনি। অথচ তার কাছ থেকে প্রত্যাশা ছিল অনেক।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us