তিমি শিকার কেন বন্ধ করবে আইসল্যান্ড?

অন্য এক দিগন্ত | Feb 06, 2022 02:57 pm
তিমি শিকার কেন বন্ধ করবে আইসল্যান্ড?

তিমি শিকার কেন বন্ধ করবে আইসল্যান্ড? - ছবি : সংগ্রহ

 

২০২৪ সাল থেকেই সমুদ্রে তিমি শিকার (whaling) বন্ধ করে দেবে আইসল্যান্ড (Iceland)। এক দিকে দ্রুত গতিতে তিমির সংখ্যা হ্রাস এবং অন্যদিকে ক্রমশ বেড়ে চলা সমালোচনা, এই দুইয়ের জেরেই তাদের এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি সরকারি সূত্রের। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন দেশের মৎস্য ও কৃষি মন্ত্রী ভ্যানদিস ভ্যাভার্সদোত্তির। তিনি জানিয়েছেন, সরকার চাইলেও এখনই তিমি শিকার বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ, নির্দিষ্ট চুক্তির ভিত্তিতে মৎস্যজীবীরা তিমি শিকার করেন। তাদের বেশির ভাগই ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিমি শিকারের লাইসেন্স রয়েছে। তারপরই এই বিষয়ে নতুন পদক্ষেপ করা সম্ভব।

আইসল্যান্ডের এই সিদ্ধান্তের পিছনে অর্থনৈতিক কারণও যে রয়েছে তাও স্বীকার করে নিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ইদানীং সেভাবে আর বড় তিমি পাওয়া যাচ্ছে না। যে তিমিগুলি মৎস্যজীবীদের ফাঁদে উঠছে, তার থেকে বিশাল কিছু মুনাফাও হচ্ছে না। ফলে তিমি শিকার করে দেশের অর্থনীতির আর কোনো লাভ হচ্ছে না। উপরন্তু, আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা বাড়ছে। তাই ২০২৪ সালের পর আর তিমি শিকারের অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, "এত দিন আইসল্যান্ডে শিকার করা তিমির সবথেকে বড় ক্রেতা ছিল জাপান। সে দেশে তিমির মাংসের ভালো চাহিদা রয়েছে। কিন্তু, ইদানীং সেই চাহিদাতেও ভাটা পড়েছে। তিমি শিকার করে যখন জাতীয় অর্থনীতির কোনো লাভই হচ্ছে না, তখন আমরা কেনই বা ঝুঁকি নিয়ে তিমি শিকার চালিয়ে যাব?" প্রসঙ্গত, ৩০ বছর ধরে তিমি শিকার নিষিদ্ধ থাকার পর ২০১৯ সাল থেকে জাপানে ফের বাণিজ্যিকভাবে তিমি শিকার শুরু হয়। ফলে তিমির মাংস সংগ্রহের জন্য আইসল্যান্ডের উপর তাদের নির্ভরতা কমে। এতে জাপানের সুবিধা হলেও, আইসল্যান্ডের লোকসান হয়েছে।

১৯৮৬ সালে তিমি শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল 'আন্তর্জাতিক তিমি শিকার কমিশন' (IWC)। কিন্তু, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে জাপান IWC থেকে বেরিয়ে যায়। দেশে যাতে ফের তিমি শিকার শুরু করা যায়, তার নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এই প্রেক্ষাপট টেনে ভ্যানদিস ভ্যাভার্সদোত্তির বলেন, তিমি শিকার নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, তিমির শিকার বাড়লে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি, আমেরিকার খুচরো দোকানগুলিতেও আইসল্যান্ডের বিভিন্ন পণ্যের বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আইসল্যান্ড তিমি শিকার চালিয়ে যাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এতে আইসল্যান্ডের বড় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। প্রসঙ্গত, জাপানের পর ১৯৯২ সালে আইসল্যান্ডও IWC ছেড়ে বেরিয়ে আসে। কিন্তু পরে তারা আবার IWC-তে যোগ দেয়। তবে সেই সময় তিমি শিকার বন্ধের বিরোধিতা করাই ছিল আইসল্যান্সের লক্ষ্য। এখন অবশ্য পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে।

সূত্র : এই সময়


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us