পাকিস্তান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য রাশিয়ার
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান - ছবি : সংগ্রহ
রাশিয়া অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র 'নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ' করছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ঘটনাবলীতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই যে যুক্তরাষ্ট্র 'অবাধ্য' প্রধানমন্ত্রী ইমরান খঅনকে শাস্তি দিতে চায়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে উৎখাত করার জন্য ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার জন্য রূঢ়ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো পাশ্চাত্যের পরাশক্তিটির সাথে আঁতাত করছে।
মুখপাত্র মারিয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব 'স্বার্থেন্বেষী উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে 'নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ' করছে। তিনি দাবি করেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি মস্কোতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সফরের কারণেই জাতীয় পরিষদে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।
বিবৃতিতে ক্ষমতাসীন পিটিআইয়ের দাবিটিও উল্লেখ করা হয়। এতে দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারির ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ওপর 'রূঢ় চাপ' প্রয়োগ এবং আলটিমেটাম দাবি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের দেশগুলোকে অভিযুক্ত করে রাশিয়া।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
সবার নজর পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দিকে : 'সব পক্ষের কথা শুনেই রায়'
পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দিকে এখন সবার নজর। আদালতের রায়ের ওপর পাকিস্তানের চলমান সংকট অনেকাংশে নির্ভর করছে। সুপ্রিম কোর্ট রায় সম্ভবত আজ মঙ্গলবারই রায় দেবে যে সংসদ ভেঙে দেয়ার রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল কিনা বা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করার ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্ত যথার্থ ছিল কিনা।
সম্মিলিত বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল। প্রস্তাবটি নিয়ে ভোটাভুটির ঠিক আগে দিয়ে ডেপুটি স্পিকার সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫-এর আলোকে বাতিল করে দেন। এরপরপরই ইমরান খানের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। এর ফলে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে পাকিস্তানে নতুন করে নির্বাচন হওয়ার কথা। বিরোধী জোট দুটি সিদ্ধান্তেই অসন্তুষ্টি ব্যক্ত করেছে। তারা আশা করছে, সুপ্রিম কোর্ট তাদের পক্ষেই সিদ্ধান্ত দেবে।
তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তারা সকল পক্ষের বক্তব্য শুনেই রায় দেবে। সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, তারা সকল রাজনৈতিক দলকে শ্রদ্ধা করে, তবে রাজনৈতিক বক্তব্যগুলোকে বিবেচনায় নেয়া হবে না।
সোমবার শুনানিকালে প্রধানবিচারপতি উর আতা বানদিয়াল বলেন, ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করাটা বৈধ ছিল কিনা সেটা তারা বিবেচনা করবেন।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) আইনজীব ফারুক এইচ নায়েক ফুল কোর্ট গঠন এবং এ ব্যাপারে সোমবারই রায় দেয়ার যে আবেদন জানিয়েছিলেন, প্রধান বিচারপতি তা খারিজ করে দিয়ে বলেন, 'হাওয়ার ওপর রুলিং আসতে পারে না।'
আর শুনানি আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত স্থগিত করে বিচারপতি আহসান বলেন, তাৎক্ষণিক রায়ে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
সূত্র : দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল