বন্ধু

রহমান মৃধা | Sep 08, 2022 04:32 pm
বন্ধু

বন্ধু - ছবি : সংগ্রহ

 

মিতালী করেছি ছোটবেলায়,
ভাবিনি কখনো ধর্ম, বর্ণ, জাত বা অজাত।
হৃদয়ে গেথেছি মালা, ভাবিনি কখনো,
সে মালা ছিড়ে যাবে।

সবকিছু ফেলে, সবকিছু ছেড়ে,
হঠাৎ একজন বন্ধুর দেখা মিলেছে,
মনের অজান্তে কত সহজেই না সে আপন হয়েছে।

বিশ্বাসে কখনো ধরেনি ঘুন,
নিঃশ্বাস কখনো হয়নি খুন,
বুকের মধ্যে করেনি ধড়ফড়,
ভাবনা কখনও হয়নি অসাড়।

কখনো ভাবিনি কে জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু,
সবাই যেন একমাত্র বন্ধু,
যখন কিছু ছিল না, তখন বন্ধু ছিল,
আজ সব হয়েছে শুধু বন্ধু চলে গেছে!
ছোটবেলায় বন্ধু তো অর্থের বিনিময়ে আসেনি!
তাহলে কেন এ অবেলায় এমনটি হলো?

কেন এত ভাবনা মনের কথা বলতে?
কেন এত চিন্তা সহজভাবে চলতে?
কেন এত ভয় সেই বন্ধুকে বন্ধু বলে ভাবতে?

ভালোবাসার বন্ধনে তখন ছিল না অর্থ,
কিংবা ছিল না কোনো স্বার্থ,
তাহলে এমন কেন হলো?

আমি না হয় দূরে থাকি,
ভালো মন্দে সুখে আছি,
কারো অন্নের করিনি ধ্বংস, কাউকে কখনো করিনি নিঃস্ব,
বলতে গেলে ভালোই আছি।
এ কারণে হয়তো অনেকে বন্ধু মনে করে,
কিন্তু যাদের আমার মতো সুন্দর পরিবেশ হয়নি,
তারা কি সেই আগের মতোই বন্ধু আছে!

ভালোবাসার বন্ধনে ছোটবেলায় যে বন্ধু পেয়েছিলাম,
আমি সেই বন্ধু পেতে চাই;
যে শুধু নিতে নয় দিতে জানত,
যে শুধু সুখে নয়, দুখেও পাশে থাকত,
যাকে মনের কথা প্রাণ খুলে বলা যেত,
যাকে নিয়ে গর্ব করা যেত,
যার কথা ভাবলে মনে ভালোবাসা জাগত।
যে ভালোবাসার মধ্যে খুঁজে পেতাম,
শুধু ভালোবাসা!

জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার বিশ্বাস,
আর সম্পর্ক একটি মধুর দায়িত্ব, সুযোগ নয়,
ভালো বন্ধুর চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই পৃথিবীতে,
হয়তো আমি তোমাদের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু হতে পারিনি।
তবে তোমরা রয়েছো আমার হৃদয়ে একমাত্র বন্ধু হয়ে।
থাকো সবাই ভালো থাকো যেখানেই থাকো,
বন্ধুত্বের সম্পর্ক হৃদয়ে রেখো।

হঠাৎ মনে হলো বন্ধুদের কথা!
এত বছর পার করেছি তাদের ছাড়া,
তারপরও রয়েছে তারা হৃদয়ে গাঁথা।
ভালোবাসি তোমাদের ঠিক আগের মতো করে,
যদিও আছি আমি বহুদূরে সরে।

লেখক : সাবেক পরিচালক (প্রোডাকশন অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট), ফাইজার, সুইডেন থেকে rahman.mridha@gmail.com


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us