নিজের নামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা কি জায়েজ?

নিজস্ব প্রতিবেদক | Apr 08, 2020 10:14 am
নিজের নামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা কি জায়েজ?

নিজের নামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা কি জায়েজ? - সংগৃহীত

 

প্রশ্ন : বলা হয় যারা রমজানের রোজা রাখে এবং ঠিকমতো তারাবির নামাজ পড়ে আল্লাহ তাদের গুনাহ মাফ করে দেন। এটা কী সবার জন্য প্রযোজ্য?

ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর : বিভিন্ন হাদিসে এসেছে যে, অমুক আমল করলে আল্লাহ গুনাহ মাফ করেন। এটার অর্থ এই নয় যে সব গুনাহ। কিছু গুনাহ আছে যা সহজে মাফের যোগ্য। আর কিছু গুনাহ আছে যা তওবা ছাড়া মাফ হয় না। এ কথা বিভিন্ন হাদিসে স্পষ্ট বলা আছে। কিছু গুনাহ আছে যেটা তওবাতেও মাফ হবে না। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মানুষ যার ক্ষতি হয়েছে তার কাছে মাফ নিতে হবে। তাহলে পাপ আমরা কয়েক ভাগে ভাগ করতে পরি। মহা কবিরা গুনাহগুলো তওবার মাধ্যমে মাফ হয়। সাধারণ ছোটখাটো গুনাহ নেক আমলের মাধ্যমে মাফ হয়। আর মানুষের অধিকার সংশ্লিষ্ট যে পাপগুলো রয়েছে যেমন : খুন, টাকা কেড়ে নেয়া, লুট করা, চাঁদাবাজি করা, যৌতুক নেয়া, গিবত করা, কারো মর্যাদা নষ্ট করা বা কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। এই গুনাহগুলোর জন্য শুধু আল্লাহর কাছে তওবা করলে মাফ হয় না। ক্ষমা চাওয়ার একটা শর্ত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হক ফিরিয়ে দিয়ে তার কাছ থেকে ক্ষমা নেয়া। কাজেই যখন আমরা বলি যে, রোজা রাখলে, তারাবিহ পড়লে বা তাহাজ্জুদ পড়লে আল্লাহ গুনাহ মাফ করে দেন; এটার অর্থ সাধারণ মাফযোগ্য গুনাহগুলো আল্লাহ মাফ করে দেন।


প্রশ্ন : নিজের নামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা যাবে কি?
মুফতি কাজী ইব্রাহিম : নিজের নামে নিজে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা যাবে। তবে ভালো হয় যদি আপনার মৃত্যুর পর আপনার ছেলেরা আপনার নামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে। যেমন- মসজিদে ওমর, মসজিদে আয়েশা, মসজিদে আবু বকর এসব মসজিদ তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁদের নামে নামকরণ হয়েছে। আপনি যদি নিজের নামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন, এতে লোকদেখানো একটা ভাব প্রকাশ পায়, এটি লৌকিকতা ও এখলাছের পরিপন্থী। আর সবচেয়ে ভালো আপনি আল্লাহর নামে বা কোনো ইসলামিক নামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রশ্ন : মৃত্যুর আগে কুলখানি করা যাবে কি না?
মুফতি কাজী ইব্রাহিম : না, মৃত্যুর আগে কুলখানি বা চল্লিশা করা যাবে না। এটি কুফরি। নবীজি বলেছেন, দুটো জিনিস মানুষের মধ্যে থাকলে এটি কুফরি কাজ। একটি হলো কারো বংশ ধরে গালি দেয়া। অন্যটি হলো নিয়াহাত (চল্লিশা বা সাতাইশা প্রভৃতি) অনুষ্ঠান। মৃত্যুর আগে যদি খাওয়াতে চান তা হলে সওয়াবের নিয়তে খাওয়াবেন।

প্রশ্ন : মহিলারা পুরুষের সাথে কিভাবে কথা বলবে?
মুফতি কাজী ইব্রাহিম : পর পুরুষের সাথে যদি কথা বলতেই হয় তবে অবশ্যই নরম সুরে কথা বলবে না। কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘মহিলারা পুরুষের সাথে ইনিয়ে বিনিয়ে বা মিষ্টি সুরে কথা বলবে না।’ আর মহিলা সাহাবিরা কথা বলার সময় মুখের সামনে হাত দিয়ে কণ্ঠকে বিকৃত করে কথা বলতেন; যেন কণ্ঠের মিষ্টতা প্রকাশ না পায়। সুতরাং প্রয়োজনে কথা বলতে হলে অবশ্যই নরম সুরে বা ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলা যাবে না। আর অপ্রয়োজনে তো কথা বলবেই না। কারণ অপ্রয়োজনীয় কাজ মুমিনের বৈশিষ্ট্য না।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us