রাসুলের (সা.) আমলে বন্দীদের যেভাবে রাখা হতো

মুহাম্মদ আমিমুল ইহসান | Apr 25, 2020 09:20 pm
রাসুলের (সা.) আমলে বন্দীদের যেভাবে রাখা হতো

রাসুলের (সা.) আমলে বন্দীদের যেভাবে রাখা হতো - সংগৃহীত

 

নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিশ্বকে ভীতসন্ত্রস্ত করে রেখেছে প্রায় চার মাস। চীন থেকে শুরু হয়ে বর্তমানে বিশ্বের ২০৩টি দেশের মানুষের মধ্যে এই মরণব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। এ মহামারী থেকে বাঁচার জন্য বিশ্ববাসী আকাশপানে তাকিয়ে আছে। মুসলিমরা মহান আল্লাহর দরবারে এ ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করছে। বাংলাদেশের মানুষও এ ভীতির বাইরে নয়। এরই মধ্যে সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে। সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তিন দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৩১৫ জন, মারা গেছে এক লাখ ৮ হাজার ৮২৮ জন, সুস্থ হয়েছে চার লাখ চার হাজার ৩১ জন। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) এবং বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জনগণকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বৃদ্ধি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। বলা হচ্ছে, একজন আরেকজন থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্বে থাকতে হবে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ৬৮টি কারাগারে ৮৯ হাজারেরও বেশি বন্দী আটক রয়েছে। অথচ এ কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতা ৪১ হাজার ৩৪০ জন মাত্র। শুধু ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ১০ হাজারের বেশি কয়েদি রয়েছে। ওই কয়েদিদের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত, বিচারাধীন, আটকাদেশ প্রাপ্ত ও বিদেশী নাগরিক নারী-পুরুষ রয়েছে।

এমতাবস্থায় কয়েদি ও কারা কর্মকর্তাদের জন্য সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারাবন্দী ও কারা কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজন মহা উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় অতিবাহিত করছে। যেখানে জনগণকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বলা হচ্ছে, সর্দি-কাশি আক্রান্ত লোককে মসজিদে যেতে বারণ করা হচ্ছে, গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে; সেখানে কারা পরিদর্শক, ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত জেলখানায় ডিউটিতে যেতে হচ্ছে।

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে রক্ষার জন্য স্বাস্থ্য সচেতন থাকতে জোর তাগিদ দেয়া হচ্ছে। সেখানে জেলখানায় দু-তিন শ’ বন্দীর জন্য একটি মাত্র টয়লেট। বন্দীদের দুর্গন্ধযুক্ত টয়লেটের সামনে ঘুমাতে দেয়া হয়। বন্দীরা নিরাপদ দূরত্ব কিভাবে বজায় রাখবে? কারাগার হাসপাতালগুলো ভিআইপি কয়েদিদের আয়েশি জীবন যাপনের নিরাপদ কেন্দ্র। অসুস্থ বন্দীদের সেখানে থাকার কোনও সুযোগ নেই বললেই চলে। অসুস্থ বন্দীরা সেখানে নামেমাত্র চিকিৎসা পেয়ে থাকে। আল্লাহ না করুন যদি চীন, স্পেন, ইতালি, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিপর্যয় নেমে আসে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ও বন্দীরা চিকিৎসাহীন অবস্থায় মৃত্যুর মিছিলে শামিল হবে। কারাগারেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক কারাগারে ১৬৭ জন কয়েদি ও ১১৪ জন কারাকর্মীর শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে একজন কারা স্টাফ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। নিউ ইয়র্ক সিটির বোর্ড অব কারেকশন দুই হাজার ১৮৫ জন কয়েদিকে জামিন প্রদানের জন্য সুপারিশ করেছে। এদের মধ্যে ৯০৬ জন বন্দী রয়েছে ষাটোর্ধ্ব। নিউ ইয়র্ক সিটির গভর্নর বলেন, ধারাবাহিকভাবে বন্দীদের মুক্ত করা হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২২ মার্চ থেকে যুক্তরাজ্যে ২২৬ জন কয়েদি ও ১৩১ জন কারা স্টাফ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভয়াবহতায় ইতোমধ্যে ইরান ৮৫ হাজার কয়েদিকে জামিন দিয়েছে। ইরানের বিচারবিভাগীয় প্রধান ইবরাহিম রইসি জানান, করোনার ভয়াবহতা না কমা পর্যন্ত বন্দী মুক্ত করার এ ধারা অব্যাহত থাকবে। (স্কাই নিউজ)

কারাসূত্রে জানা যায়, দেশের ৬৮টি কারাগারের মধ্যে মাদারীপুর কারাগার লকডাউন করা হয়েছে। মাদারীপুরে অধিক সংখ্যক বিদেশফেরত প্রবাসীর কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা অধিদফতর। বাগেরহাট কারাগারে নতুন বন্দী তিন চাইনিজ নাগরিককে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে প্রতিটি কারাগারে নতুন বন্দীদের জন্য আলাদা সেল খোলা হয়েছে। এই সেলে রাখা হয়েছে ১৪টি কক্ষ। নিরাপত্তা নিশ্চিতে বন্দীদের পর্যায়ক্রমে ১৪টি কক্ষে নেয়া হচ্ছে। ‘নতুন আমদানি সেল’ নামে এই সেলে বন্দী আনার আগেই তাদের পরীক্ষা ও তল্লাশি করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

কারাগার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এই মুহূর্তে কারাগারের ধারণক্ষমতা বিবেচনা করে কিছু বন্দী কমানো দরকার। অথচ কোর্ট বন্ধ থাকায় অন্যান্য সময়ের মতো স্বাভাবিক জামিনও হচ্ছে না, অন্য দিকে কয়েদি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কারাগার বিশেষজ্ঞ ও সাবেক ডিআইজি প্রিজন মেজর জেনারেল সামছুল হায়দার সিদ্দিকি গণমাধ্যমকে বলেছেন, করোনাভাইরাস একটি ছোঁয়াচে রোগ, সে তুলনায় কারাগারে বন্দীদের ভিড় বেশি থাকে সবসময়। গাদাগাদি করে থাকতে হয়। লঘু দণ্ডপ্রাপ্ত যে সব অপরাধী রয়েছে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমত। বিষয়টি সরকার ও সংশ্লিষ্টরা বিবেচনা করতে পারেন। তিনি আরো বলেন, শুধু বন্দীদের বিষয় দেখলে হবে না বরং বন্দীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কারারক্ষী, পরিদর্শক ও ডাক্তারদের স্বাস্থ্য বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তারা যেন সতর্কতার সাথে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে কারাগারে ডিউটি পালন করে।

বন্দীদের মর্যাদা ও অধিকার প্রদানে ইসলাম : ইসলাম বন্দীদেরকে সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে। রাসূল সা: বন্দীদের সাথে কোমল ব্যবহার করার জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। বদর যুদ্ধের বন্দীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করার জন্য তিনি সাহাবিদের নির্দেশ দেন। অসুস্থ বন্দীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে তাগিদ দিতেন। ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দীদেরকে এমন স্থানে রাখতে হবে যেখানে তারা জীবনের নিরাপত্তাবোধ করবে। সমূহ অনিষ্ট, ভীতি ও ক্ষতি থেকে বন্দীদেরকে দূরে রাখতে হবে। কেননা, বন্দীদের আটকের উদ্দেশ্য হলো- মানব মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে তাদের সংশোধন করা ও সমাজের কল্যাণে প্রস্তুত করা। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘শরিয়তের দৃষ্টিতে কয়েদিকে নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন জায়গায় আটক রাখবে, যেখানে তার ব্যক্তিগত কোনো শক্তি প্রয়োগের সুযোগ থাকবে না। চাই সে বন্দিত্ব ঘরে, মসজিদে কিংবা কারাগারে হোক। (মাজমুউল ফাতাওয়া : ৩৫/৩৯৮)

রাসূল সা: বন্দীদের রাখার জন্য প্রশস্ত ও আলো প্রবেশ করে এমন তাবু নির্বাচন করতেন। যাতে বন্দীরা শারীরিক ও আত্মিক প্রশান্তি লাভ করে। রাসূল সা: কয়েদিদের মসজিদে নববীতে বন্দী করে রাখতেন। মসজিদে নববী তখন ৩২৮১ মিটার প্রশস্ত ছিল, যা পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতায় সুশোভিত ছিল। যাতে সাহাবাদের সাথে বন্দীদের নিয়মিত সাক্ষাৎ হয়। কয়েদিরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে নববীতে আদায় করে এবং রাসূল সা:-এর নসিহত ও খুতবা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। আধুনিক যুগে এ ধরনের কারাগারকে উন্মুক্ত কারাগার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়, যাতে কয়েদিদের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করে।

[সহিহ ইবনে খুজায়মা : ২/২৮৫, হুকুকুল মাসজুন ফিশ শরিয়াতিল ইসলামিয়া : পৃষ্ঠা ৫৪, সহিহুল বুখারি, বাবু রবতিল আসিরে ফিল মসজিদে, হাদিস নং : ৪৫০, সহিহ মুসলিম, বাবু রবতিল আসিরে ওয়া হাবসিহি, হাদিস নং : ১৭৬৪]

রাসূল সা: দণ্ডপ্রাপ্তদের ঘরে বন্দী রাখার জন্য নির্দেশ দিতেন। যাতে তারা তাদের মৌলিক অধিকার স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ করতে পারে। আমিরুল মুমিনিন ওমর ইবনুল খাত্তাব রা: একটি ঘর কিনে তা কারাগারের জন্য নির্দিষ্ট করে রাখেন। আলী রা: সর্বপ্রথম কারাগার নির্মাণ করেন। পক্ষের মুসলিম শাসকরা খলিফাদের পথ অনুসরণ করেন। কারাগারগুলো মানুষের বসবাসের নিকটবর্তী এলাকায় স্থাপন করা হয়, যাতে বন্দীরা আজান শুনতে পায়। [আখবারুল কুযাত লিল ওয়াকি : ৩/১৬৫, নিযামুশ শুরতা ফিল ইসলাম : পৃষ্ঠা ১৮৬]

মানবমণ্ডলীকে অসুস্থতা, ঝুঁকি ও মহামারী থেকে রক্ষা করা ইসলামী শরিয়তের অন্যতম নির্দেশনা। আল্লাহর ভাষায় : তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিও না। [সূরা বাকারা : ১৯৫]

ফিকহ বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেশিসংখ্যক বন্দীকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে আটক রাখা জায়েজ নয়. যেখানে শীতে ও গরমে বন্দীদের কষ্ট হয়। রাষ্ট্রের দায়িত্ব কয়েদিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। ইসলামী আইনবিদরা আরো বলেন, বন্দীদেরকে কারাগারে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। ডাক্তার ও নার্সদের রোগীর সেবায় জেলখানায় প্রবেশে বাধা দেয়া যাবে না। জেল কর্তৃপক্ষ যদি কোনো কয়েদিকে বাইরে চিকিৎসা করাতে বাধ্য হয় তাহলে বিচারক তাকে বাইরে নেয়ার অনুমতি দেবেন। কোনো কোনো ফকিহ সে ক্ষেত্রে জামিনদারের মাধ্যমে বাইরে পাঠানোর শর্তারোপ করেন। তবে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হলে জামিনদারের প্রয়োজন নেই। [আল এখতিয়ার : ৫/২৬, হাশিয়াতু ইবনে আবেদিন : ৫/৩৭৮, ফাতহুল কাদির ইবনুল হুমাম : ৫/৪৭১, আদাবুল কাযি লিল খাসসাফ : ২/৩৭৫, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৪/৪১২, হুকুকুল মাসজুন ফিশ শরিয়াতিল ইসলামিয়া : পৃষ্ঠা ৭৬]

ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে কারাগার সংরক্ষিত রাখতে দেশের তিন হাজার কারাবন্দীকে জামিন দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। করোনায় সৃষ্ট দুর্যোগের কারণে কারাবন্দীর সংখ্যা কমাতেই দেশের ৬৮ কারাগারে ছোটখাটো অপরাধ ও জামিনযোগ্য ধারায় বিচারাধীন তিন হাজারের বেশি কারাবন্দীকে জামিন দিতেই এ উদ্যোগ বলে কারা সূত্রে জানা গেছে। এরপরও ৪১ হাজার ৩১৪ জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন কারাগারগুলোতে বাকি ৮৬ হাজারেরও বেশি কারাবন্দীকে গাদাগাদি করে থাকতে হবে, যা করোনাসৃষ্ট মহামারীর সময়ে ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ।

বর্তমান সময়ে কয়েদিদের সব ধরনের সুবিধা বিনষ্ট হচ্ছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এমতাবস্থায় কারাগার বিশেষজ্ঞ ও আইন গবেষকদের মতামত অনুযায়ী ১৯৬০ সালের বিচারবিভাগীয় অধ্যাদেশের আলোকে লঘু দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি, রাজনৈতিক বন্দী, শিক্ষাবিদ, বয়োবৃদ্ধ বন্দী ও নারী বন্দীদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়ার ব্যবস্থা করা যায় কি না, বিচার বিভাগসংশ্লিষ্টরা বিষয়টি অতীব গুরুত্বের সাথে দেখবেন বলে আশা করছি।

লেখক : মুফতি, আরবি ভাষাবিদ, এমফিল গবেষক (কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
amimul1@yahoo.com


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us