মুসলিমবিশ্বে আমিরাতে চাল!

মো: বজলুর রশীদ | Aug 28, 2020 07:21 pm
মুসলিমবিশ্বে আমিরাতে চাল!

মুসলিমবিশ্বে আমিরাতে চাল! - ছবি : সংগৃহীত

 

আমিরাত আয়তন ও পরিমাপের দিক দিয়ে খুব ছোট দেশ। তার পরও দেশটি বিশ্বরাজনীতি এবং মুসলিম বিশ্বে চাল দিয়ে যাচ্ছে। যারা কিছু দিন আগে কাঠের মাছধরার নৌকা সাগরে ভাসিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছে; আজ তেলের টাকার দাপটে বিশ্ব রাজনীতির কিছু অংশ কিনে খেলতে চাইছে তারা। মালি, লিবিয়া, ইয়েমেন, তুরস্ক, বলকান, মুসলিমবিরোধী সার্বিয়া, ভারত ও চীন- কোথায় নেই আমিরাত? বলতে গেলে নতুন দেশ, কয়েকটি আমিরাত নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত; এখনো পাঁচটি দশকও পূর্ণ করেনি জীবনকাল। অবস্থা দেখে মনে হয় আমিরাতের নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই, তা অন্যরা ছক বেঁধে দিয়েছে। নিজেদের অফুরন্ত সম্পদকে বিদেশীদের অ্যাজেন্ডা চরিতার্থ করার জন্য বিলিয়ে দিচ্ছে। তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কুলুসি আকার বলেছেন, ‘কয়েকটি দেশ রিমোটের সাহায্য দেশটি চালাচ্ছে নিজেদের স্বার্থচরিতার্থ করার জন্য।’ যখন নিজের ক্ষতি আঁচ করতে পারবে তখন ফিরে আসার সম্ভাবনা আর থাকবে না। আমরা এখনই দেখছি আমিরাত ‘জিওনিজমের হাতুড়ি’তে পরিণত হয়েছে। আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান এসব কিছুর মূল বলে অনেকে মনে করেন। তাই আমিরাতের বর্তমান কর্মকাণ্ড ‘ওয়ান ম্যান শো’র মতো।

সরকার অনবরত মৌলিকত্ব বাদ দিয়ে নকল ও আধুনিক অবকাঠামো তৈরি করে চলেছে। ভ্যালি, লেক, মনমাতানো হোটেল, হাই এ্যান্ড দোকান ও মল। পশ্চিমাদের সাথে পাল্লা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এসব। ফলে মাছের নৌকার দেশ থেকে আধুনিক শহরে রূপান্তরিত হলো, মাত্র ৪০ বছরের মধ্যে। কিন্তু সব আরব দেশে এমন পরিবর্তন আসেনি। ইয়েমেনে, ফিলিস্তিন ও সিরিয়ার আরবরা ধুঁকে ধুঁকে মরছে; ওদের জন্য দুবেলার খাবার, চিকিৎসা ও পানীয় জল এখন বিলাসিতা।

ইহুদিরা ফিলিস্তিনিদের মারছে, রক্তের সাগর বইছে অনেক দেশে। আমেরিকার সিআইএ ও ইসরাইলের মোসাদের প্রেসক্রিপশন অনুসারে এসব করায় প্রটোকল তৈরি করা হয়েছে। আমেরিকার সাবেক সেক্রেটারি অব স্টেট কন্ডোলিজা রাইস যেকোনো আরব জাগরণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ২০০৬ সালে গোপন পরিকল্পনা করেছিলেন বলে প্রকাশ। আমেরিকার সরকারগুলো জিওনিস্ট প্রাধান্যকে আরব বিশ্বে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। দরিদ্র আরব দেশগুলো তেলের প্রাচুর্যে এখন বিশ্ব অর্থনীতির এক বড় শক্তি। এসব দেশকে এককভাবে ছেড়ে দিলে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ জাতীয় কোনো চিন্তাভাবনার প্রকল্প কাজ করতে পারবে না। তাই তাদের লাগাম দেয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো একত্র হয়ে অনেক আগে ইসরাইলকে আরবদের বুকের ওপর বসিয়ে দেয়। ইসরাইল যত শক্তিশালী হবে, মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমাদের কব্জি তত শক্ত হবে।

এ জন্য, যেকোনো ঘটনায় কিছু চিহ্নিত দেশ বারবার ছুটে আসে; বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেন কখনো ইসলাম সঠিকভাবে বাস্তবায়িত না হয়। কেননা ঈমানি শক্তির জোরের কাছে কোনো কিছুই দাঁড়াতে পারবে না- সেটি মুসলমানদের চেয়ে জিওনিস্ট লবির লোকজন বেশি বোঝে। এটারও ‘ওষুধ’ তারা জানে, হয় মুসলমান হয়ে যাও নতুবা ইসলামকে ‘শেষ’ করে দাও। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে এখন পশ্চিমা জিওনিস্ট লবি কাজ করছে আর সেই তরীতে এবার আরব আমিরাত বুঝি শামিল হলো।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us