ইরানের নির্বাচন নিয়ে তোলপাড়

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | May 31, 2021 03:58 pm
মনোনীত সাত প্রার্থী

মনোনীত সাত প্রার্থী - ছবি সংগৃহীত

 

আগামী ১৮ জুন ইরানে প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচন। তার ঠিক আগে রীতিমতো আলোড়ন শুরু হয়েছে ইরানের রাজনৈতিক মহলে। অতি সম্প্রতি দেশের পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই। সেখানে তিনি জানিয়ে দেন, সম্প্রতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে গার্জিয়ান কাউন্সিল যে মতামত দিয়েছে, তিনি তা সমর্থন করেন। এর ফলে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনে লড়তে পারবেন না।

আল লারিজানির মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতা এর ফলে ভোটে লড়তে পারবেন না। হাসান রুহানির পর দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আলির নাম একাধিকবার সামনে এসেছে।

১২ জন সদস্যকে নিয়ে ইরানে গার্জিয়ান কাউন্সিল তৈরি হয়। এর মধ্যে ছয়জন ইসলামিক স্কলার এবং ছয়জন উচ্চপদস্থ আইনজ্ঞ। এই গার্জিয়ান কাউন্সিল বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত জানান। নির্বাচনের সময় কারা লড়বে এবং কারা লড়বে না, সে বিষয়ে তারা মতামত দিতে পারেন। এবারের নির্বাচনে তারা আলির মতো মধ্যপন্থী নেতাদের বাদ দেয়ার কথা বলেন। মূলত সুপ্রিম নেতার প্রতি অনুরাগ এবং রাজনৈতিক অবস্থান বিচার করে তারা এই মতামত দেন।

শুধু আলি নন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইশাক জাহাঙ্গিরিও এবার নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। ইশাকও আলির মতোই মধ্যপন্থী নেতা। খামেনেই জানিয়েছেন, গার্জিয়ান কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছেন তিনি। তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

সর্বোচ্চ নেতার এই ঘোষণার পর দেশে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সর্বোচ্চ নেতাকে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হকো। কিন্তু বাস্তবে তিনি তা করবেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা আছে।

এদিকে আলির ভাই সাদিক লারিজানি টুইট করে বলেছেন, ইরানের সিক্রেট সার্ভিসের ভুল তথ্যই এই ঘটনার জন্য দায়ী। সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে গার্জিয়ান কাউন্সিলকে। এক সময় সাদিক নিজেও গার্জিয়ান কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। দীর্ঘ দিন ইরানের বিচারব্যবস্থার প্রধান ছিলেন তিনি। সাদিকের বক্তব্য, সরকারকে জানানো হয়েছিল, আলির মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। তা সত্যি হলে আলি ভোটে দাঁড়াতে পারেন না। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছু ঘটেনি। সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, রাজনৈতিকভাবেই দেশের মধ্যপন্থী নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর পিছনে অন্য ষড়যন্ত্র কাজ করেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে যে যথেষ্ট আলোড়ন আছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

কে হতে পারেন ইরানের প্রেসিডেন্ট?

যে সাতজন প্রার্থী এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের মধ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি ইব্রাহিম রাইসির সম্ভাবনা বেশি বলে মনে হচ্ছে। ধারণা করা হয়ে থাকে, ৮২ বছর বয়স্ক ইরানি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরী তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো, তিনি বিচারপতি থাকার সময় ইরানে মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা ঘটেছে খুব বেশি। অবশ্য তার দুর্নীতিরবিরোধী অভিযানও বেশ প্রশংসিত হয়েছে।

এবার মোট ৫৯০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। আর ২০১৭ সালের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১,৬৩০ জন।

বাছাইয়ের পর যারা প্রার্থী হিসেবে বহাল রয়েছেন, তারা হচ্ছেন রেভ্যুলুশনারি গার্ডের সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজাই, ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান আবদুলনাসের হেমাতি, সাবেক এমপি আলিরেজা জাকানি, সাবেক প্রাদেশিক গভর্নর মোহসেন মেহরালিজাদেহ, পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার আমির হোসাইন গাজিজাদে হাশেমি, সাবেক শীর্ষ পরমাণু আলোচক সাইদ জলিলি, সাবেক প্রধান বিচারপতি ইব্রাহিম রাইসি।

সূত্র : ইউএস নিউজ/এপি


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us