মির ওসমান আলি খান : ভারতের সর্বকালের সবচেয়ে ধনী

অন্য এক দিগন্ত | Mar 29, 2022 08:02 am
মির ওসমান আলি খান : ভারতের সর্বকালের সবচেয়ে ধনী

মির ওসমান আলি খান : ভারতের সর্বকালের সবচেয়ে ধনী - ছবি : সংগৃহীত

 

ছেলে মেয়ে সামর্থের বাইরে কিছু কিনে দিতে বললেই বাবা-মাকে অনেক সময়ই বলতে শোনা যায়, ‘‘আমরা অম্বানি নই।’’ এ রকম বলার কারণ তো সকলেরই জানা। অম্বানি পরিবার ভারতের সবচেয়ে ধনী পরিবারগুলির মধ্যে একটি।

অম্বানি, বিড়লা এবং টাটা বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ধনী পরিবারগুলির মধ্যে অন্যতম।

তবে এদের মধ্যে কেউই দেশের সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তকমা পাননি।

ইতিহাস বলছে, চেঙ্গিস খানকে পৃথিবীর সর্বকালের সব থেকে ধনী শাসক বলে মনে করা হয়।

কিন্তু ভারতেরও এমন এক রাজা ছিলেন, যার মোট সম্পত্তির পরিমাণ গুনে গুনে গোল দেবে ভারতের তাবড় তাবড় শিল্পপতিদের সম্পত্তিকে!

এই বিত্তশালী ব্যক্তি আর কেউ নন, হায়দরাবাদের শেষ নিজাম নবাব মির ওসমান আলি খান।

নবাব ওসমান ১৮৮৬ সালের ৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন।
একটি হিসাব বলছে, বিশ্বের সর্বকালের সেরা ধনীদের তালিকায় নবাব ওসমানের স্থান চার নম্বরে।

তবে স্বাধীনতার পরেও নবাব বেঁচে ছিলেন। তিনি বেঁচে ছিলেন ১৯৬৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

নবাব ওসমানের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২৩৬ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৮ লক্ষ কোটি), যা পৃথিবীর এক সময়ের সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোসের মোট সম্পত্তির প্রায় দেড় গুণ বেশি।

২০১৮ সালে এক বেসরকারি সংস্থার গবেষণার নিরিখে তিনিই বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তকমা পেয়েছিলেন।

তবে ২০২২ সালে উদ্যোগপতি এলন মাস্কের সম্পত্তি নিজামের সম্পত্তিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এলন মাস্কের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৬৮ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ লক্ষ কোটি)।

নবাব ওসমান এতই ধনী ছিলেন যে তিনি পেপারওয়েট হিসেবে বিখ্যাত জেকব হিরে ব্যবহার করতেন।

নবাব ওসমান ১৯১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সিংহাসনে বসেন এবং ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি হায়দরাবাদের মসনদে নিজাম হিসেবে রাজত্ব করেন।

নাইট গ্র্যান্ড কমান্ডার অব স্টার অব ইন্ডিয়া উপাধিতেও ভূষিত হন।

হায়দরাবাদ হাইকোর্ট-সহ হায়দরাবাদের একাধিক ভবনের উন্নয়নের জন্য নবাবকে কৃতিত্ব দেয়া হয়।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


সেই শামির চমক

ইনিংসের প্রথম বলেই ফিরিয়েছিলেন বিপক্ষ দলের অধিনায়ক কে এল রাহুলকে। পরের দু’টি ওভারে আরো দু’টি উইকেট তুলে নেন। লখনউয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়া মোহাম্মদ শামিকে আনন্দবাজার অনলাইনের মতোই ম্যাচের সেরা বেছে নিলেন আইপিএলের আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারিরাও।

সোমবার লখনউয়ের বিরুদ্ধে বল করে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন শামি। রাহুল ছাড়াও তার শিকার হয়েছেন কুইন্টন ডি’কক এবং মণীশ পান্ডের মতো দুই বিধ্বংসী ব্যাটার। লখনউ অবশ্য সেই জায়গা থেকেও ঘুরে দাঁড়ায় দীপক হুডা এবং আয়ুষ বাদোনির অর্ধশতরানের সৌজন্যে। কিন্তু গুজরাতের রাহুল তেওয়াটিয়ার সৌজন্যে জিততে পারল না তারা।

প্রথম বলে রাহুলকে আউট করা নিয়ে শামি বললেন, “সঠিক লাইন এবং লেংথে বলটা রাখতে চেয়েছিলাম। হাত থেকে বল বেরনোর পরেই বুঝতে পারি ভাল বল করেছি। অনেকে ভাবেন এটা বোধহয় ঈশ্বরের উপহার। কিন্তু সেটা সঠিক নয়। অনেক পরিশ্রম করলে এগুলো আয়ত্তে আনা যায়। হার্দিক আমাকে বলেছিল চতুর্থ ওভারও দেবে। আমিই বললাম দরকার নেই। একটা ওভার বাঁচিয়ে রাখো।”

গুজরাতের জয়ের পিছনে অবদান রয়েছে তেওয়াটিয়ারও। তিনি ম্যাচের পরে বলেছেন, “ব্যাট করার পক্ষে উইকেট খুবই ভাল ছিল। আমি এবং মিলার ঠিক করেই নিয়েছিলাম যে লম্বা জুটি গড়ব। মাত্র একটা ওভারের ব্যাপার ছিল। তাতেই খেলা ঘুরে যেত। রিভার্স সুইপে ওই ছয়টা মারার পর দেখছিলাম রবি বিষ্ণোইও চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। তখনই মনে হয়েছিল ম্যাচটা আমাদের হাতে রয়েছে।”
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us