এক টুকরা হীরার দাম ২২০ কোটি টাকা

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Nov 13, 2020 02:50 pm
এক টুকরা হীরার দাম ২২০ কোটি টাকা

এক টুকরা হীরার দাম ২২০ কোটি টাকা - ছবি : সংগৃহীত

 

’বিরলের মধ্যেও বিরল’- এভাবেই পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল গোলাপি হীরাটিকে। আর হীরাটি বিক্রি হলো রেকর্ড দামেই। চলতি সপ্তাহে দি স্পিরিট অব দি রোজ নামের ১৪.৮৩ ক্যারেটের হীরাটি বিক্রি হয়েে ২৬ মিলিয়ন ডলারে। বাংলাদেশী মুদ্রায় তা ২২০ কোটি ৫০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এ ধরনের রতœ পাথর এত দামে আর বিক্রি হয়নি। হীরাটি পাওয়া গিয়েছিল রাশিয়ার এক খনিতে।

বুধবার জেনেভায় হীরাটি বিক্রি হয়। তবে কে কিনেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি। টেলিফোনেই বেচাকেনার কাজটি সম্পন্ন করা হয়। নিলামকারীরা এর দাম ২৩ মিলিয়ন থেকে ৩৮ মিলিয়ন ডলার ওঠবে বলে ধারণা করেছিলেন।

রুশ মাইনিং জায়ান্ট আলরোসা ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ওই দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল থেকে এটি বের করেন। এটি তখন ছিল ২৭.৮ ক্যারেটের বিশাল অপরিশোধিত হীরকখ-। রাশিয়ায় পাওয়া গোলাপি হীরার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। রাশিয়ায় প্রতি বছর বিশ্বের মোট হীরার প্রায় ৩০ ভাগ উৎপাদিত হয়।
এটিকে কেটে ও পলিশ করতে পুরো এক বছর লেগে গেছে। হীরা এমনিতেই অত্যন্ত দামি পাথর। আর তা গোলাপি হলে, দাম বেড়ে যায় কয়েক গুণ। পৃথিবীতে প্রথম গোলাপি হীরাটি পাওয়া যায় সপ্তদশ শতকে। আর এগুলোর বেশির ভাগই পাওয়া গেছে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায়।

দি স্পিরিট অব দি রোজ রেকর্ড সৃষ্টি করল্ওে তা সবচেয়ে দামি গোলাপি হীরার চেয়ে অনেক সস্তা। ৫৯.৬ ক্যারেটের সিটিএফ পিঙ্গ স্টার ২০১৭ সালে হংকংয়ে বিক্রি হয়েছিল ৭১.২ মিলিয়ন ডলারে।

সূত্র : নিউ ইয়র্ক পোস্ট

রাশিয়ার খনিতে ২৩৬ ক্যারেটের দুর্লভ রঙিন হীরা

উত্তর রাশিয়ার একটি খনি থেকে মিলল ২৩৬ ক্যারাট ওজনের গাঢ় হলুদ রঙের বিরল হীরা। ওই খনি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ হীরা উৎপাদক সংস্থা অলরোসা'র মালিকানাধীন। রাশিয়ার কোনো খনি থেকে এর আগে এত বড় রঙিন হীরা পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

রাশিয়ার একেবারে উত্তর প্রান্তের ইতুকিয়া অঞ্চল চরম জলবায়ুর জন্য পরিচিত। শীতকালে এখানে প্রায় কোনো কাজকর্ম করা যায় না। গোটা এলাকা পুরু বরফের চাদরে ঢাকা থাকে। একমাত্র গ্রীষ্মের কয়েক মাস এখানে কাজকর্ম করা যায়। এখানকারই আনাবার নদীর তীরে অবস্থিত অলরোসার এবেলিয়াখ খনি। কয়েক দিন আগে সেই খনি থেকে 'গাঢ় হলুদ-বাদামি রঙের' দুর্লভ এই হীরাটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেটি ১২০ মিলিয়ন থেকে ২৩০ মিলিয়ন বছর পুরনো বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে আলরোসার এক শীর্ষ কর্তা পাভেল ভিনিখিন বলেছেন, 'এত বড় আকারের রঙিন হীরা বিশ্বে খুবই কম পাওয়া যায়। যে কারণে এটি একটি ইউনিক আবিষ্কার।' ওই হীরা কাটিং করার জন্য রাশিয়ার পাশাপাশি অনেক বিদেশি দামি দামি সংস্থা বিশেষ আগ্রহ দেখাবে বলে আশাবাদী তিনি।

যেটি ঘিরে এত চর্চা সেই দুর্লভ ২৩৬ ক্যারাট হীরার বাজার মূল্য কত, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। মূল্য নির্ধারণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার ওই সংস্থাটি। তবে সেটির দাম যে বিপুল হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

নিজেদের এই 'আবিষ্কার' পালিশহীন অবস্থায় বিক্রি করে দেয়া হবে নাকি সেটি তারা নিজেরাই পালিশ করবে সেই বিষয়ে দ্বিধায় অলরোসা। সংস্থাটি জানিয়েছে, হীরাটির মূল্য নির্ধারণ আপাতত তাদের প্রাথমিক কাজ। তার পরে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এবেলিয়াখ খনি থেকে রঙিন হীরা সন্ধানের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৭ সালে এক মাসে ওই খনি থেকে তিনটি রঙিন হিরে সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এগুলির রং ছিল হলুদ, গোলাপি এবং পার্পেল-পিঙ্ক। যেগুলোর বিশাল দর উঠেছিল।

সূত্র : এই সময়


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us