চীনে অদ্ভূত চাকরি : ‘হোয়াইট মাঙ্কি জব’

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | May 25, 2021 02:40 pm
চীনে অদ্ভূত চাকরি : ‘হোয়াইট মাঙ্কি জব’

চীনে অদ্ভূত চাকরি : ‘হোয়াইট মাঙ্কি জব’ - ছবি সংগৃহীত

 

চাকরির নাম হোয়াইট মাঙ্কি জব। অদ্ভূত নাম তাই না। সহজভাবে বলা যায়, সাদা বান্দরের চাকরি। তাও আবার চীনের মতো দেশে। জানেন কেন এই চাকরি, তাদের বেতন কত, কী করতে হয়, কী কী যোগ্যতা লাগে এই চাকরির জন্য?

সাদা চামড়ার মানুষ দেখলেই মনে একটা আলাদা কৌতূহল হয়। তাদের বক্তৃতায় মনে ভরসা জন্মায়। তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলোতে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে। জানেন কি এই ভাবনা শুধু বহু ভারতীয়ের মধ্যেই নয়, চীনাদের মধ্যেও রয়েছে? এবং তা রয়েছে মারাত্মক ভাবে!

ওই কারণেই চীনে সাদা চামড়ার মানুষদের জন্য আলাদা উপার্জনের ব্যবস্থাও গড়ে উঠেছে।

‘হোয়াইট মাঙ্কি জব’। কাজটিকে এমন অদ্ভুত নামে ডাকা হয় মূলত ব্যঙ্গ করেই। সাদা চামড়ার বিদেশীদের সেখানে হোয়াইট মাঙ্কি অর্থাৎ সাদা বাঁদরের সঙ্গে তুলনা করা হয়। পোষ মানা বাঁদরেরা যেমন প্রভুর কথা মতো কাজ করে থাকে এ ক্ষেত্রেও তাই হয়।

কী করতে হয়? কাজ বলতে কখনো কোনো পার্টিতে যাওয়া, কখনো কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফিতে কাটা, তো কখনো চীনের খাবার খেয়ে প্রশংসা করা কিংবা চীনা ভাষা না বোঝা সত্ত্বেও চীনের কোনো ব্যবসায়ীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানানো।

চীনে এই ধরনের কাজ নাকি আকছার দেখা যায়। এর জন্য মোটা টাকাও দেয়া হয়। সঙ্গে থাকে প্রচুর লোভনীয় উপহার।

বিদেশীরা চীনা দ্রব্যে ভরসা করছেন, চীনের কোনো প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করছেন এমন বার্তা গেলে সেই জিনিস বা ওই প্রকল্পের প্রতি শুধু চীনাদেরই নয়, সারা বিশ্বের লোকেদের ভরসা জন্মায়।

চীনের শেয়ার বাজারের রেখাচিত্র উঠতে থাকে। ব্যবসার তুলনামূলক অনেক বেশি লাভ হয় চীনাদের। ওই কারণেই নাকি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এমন কাজ করা হয় ওই দেশে।

এই কাজ পেতে হলে বিশেষ কোনো ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। কোনো বিষয় নিয়ে জ্ঞানেরও প্রয়োজন নেই। শুধু সাদা চামড়ার বিদেশী হলেই চলবে।

তবে এটা যে হেতু স্বীকৃত কোনো চাকরি নয় তাই প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে কাজে যোগদানের কোনো প্রমাণপত্রও দেয়া হয় না।

এই কাজে কোনো নির্দিষ্ট উপার্জনও নেই। যাকে ভাড়া করা হচ্ছে তার এবং মালিকের মধ্যে টাকা পয়সা নিয়ে মৌখিক যা চুক্তি হয়। সে অনুযায়ীই পারিশ্রমিক পান তিনি। এই কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের মতে, ন্যূনতম উপার্জন ১০০ ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় আট হাজার ৪৭৪ টাকা। এ বার ওই ব্যক্তি মালিকের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছেন তার উপর ওঠানামা করে উপার্জন।

মূলত চীনে বসবাস করা সাদা চামড়ার বেকার যুবক-যুবতীদেরই এই কাজে নিয়োগ করা হয়।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us