করোনা সংক্রমিত বাদুড় কামড়েছিল চীনের বিজ্ঞানীকে!

অন্য এক দিগন্ত | Jan 17, 2021 10:26 pm
করোনা সংক্রমিত বাদুড় কামড়েছিল চীনের বিজ্ঞানীকে!

করোনা সংক্রমিত বাদুড় কামড়েছিল চীনের বিজ্ঞানীকে! - ছবি : সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। করোনাভাইরাস নিয়ে এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হচ্ছে। চীনের ইউহান পরীক্ষাগারের এক বিজ্ঞানী স্বীকার করেছেন, নমুনা সংগ্রহের সময় তাকে বাদুড় কামড়ে দিয়েছিল। চীনের ইউহান পরীক্ষাগার থেকে বেশ কিছুটা দূরে অবস্থিত একটি গুহায় বাদুড়ের আস্তানা। সেখান থেকে ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। বার বার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ দাবি করেছে, ওই বাদুড় বাহিত ভাইরাসের গবেষণা থেকেই করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। বিজ্ঞানীর এই স্বীকারোক্তিতে সেই কথা আবারো স্পষ্ট হলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোববার প্রকাশিত একটি রিপোর্টে ওই বিজ্ঞানীর বয়ানে লেখা হয়েছে, যে গ্লাভস পরে ছিলেন তিনি, তার উপর দিয়ে বাদুড় কামড়ে দেয়। বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, একটা ছুঁচ ফোটানোর মতো অনুভূতি হয়েছিল তার।

চীনের গা ছাড়া মনোভাবের জন্য ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, এই অভিযোগের সমর্থনে আরো প্রমাণ উঠে এসেছে। ২০১৭ সালে চীনের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গ্লাভস বা পিপিই কিট ছাড়াই পরীক্ষাগারের কর্মীরা ভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। যা একেবারেই বিজ্ঞানসম্মত নয়।

সম্প্রতি হু-এর একটি গবেষক দল চীনে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের উৎস খুঁজতে। দলের সদস্যরা দীর্ঘ টানাপড়েনের পর ইউহান প্রদেশে চীনা পরীক্ষাগারে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। যদিও ১৫ সদস্যের দল সেখানে যাওয়ার আগে ঘটেছে বিপত্তি। দলের দুই সদস্য করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ১৩ জন উপস্থিত হয়েছেন চীনে।

অন্য দিকে, চীনে নতুন করে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। প্রায় আট মাস পর করোনায় ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নতুন করে একাধিক প্রদেশে সংক্রমণ রুখতে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসন। চীনের দাবি, এবারে সংক্রমণের কারণ বিদেশ থেকে আমদানি করা দ্রব্য বা আগত মানুষেরা।

আইস ক্রিমে পাওয়া গেল করোনাভাইরাস

উত্তর চীনে উৎপাদিত আইস ক্রিমে মিলল করোনাভাইরাস। যে সব আইস ক্রিমে ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে, সেগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে চীনা প্রশাসন।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার খবর অনুসারে, তিয়ানঝিন মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় আপাতত ওই সব ক্রেতাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার কথা বলা হয়েছে, যারা এই আইসক্রিম খেয়েছিলেন। তিয়ানঝিনের একটি স্থানীয় সংস্থা এই আইসক্রিম তৈরি করেছিল।

সংস্থার কারখানা অস্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ওই সংস্থার তৈরি আইস ক্রিমের তিনটি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছিল। পরীক্ষায় দেখা গেছে, তিনটিতেই রয়েছে করোনা ভাইরাস।

সূত্রের খবর, সংস্থা একাধিক দেশ থেকে আমদানি করা কাঁচামাল ব্যবহার করে আইস ক্রিম তৈরি করত। তার মধ্যে রয়েছে মিল্ক পাউডার, যা আনা হতো নিউজিল্যন্ড থেকে। এ ছাড়া অন্য একটি কাঁচামাল আনা হত ইউক্রেন থেকে। এর থেকেই আইসক্রিমে করোনা ভাইরাস এসে থাকতে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা।

এই খবর আসার পর কারখানার ১৬০০ কর্মীকে কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদিও তাদের মধ্যে ৭০০ জনের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকিদের রিপোর্টের ফলের জন্য অপেক্ষা করছে সংস্থা।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এতে চিন্তার কোনো কারণ নেই। হতে পারে কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে এই ভাইরাস ঢুকে পড়েছে আইস ক্রিমে। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও খাবারে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। একাধিক প্যাকেটজাত দ্রব্যে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us