ইমোজির ব্যবহার শুরু হলো যেভাবে

অন্য এক দিগন্ত | Jul 18, 2021 08:14 am
ইমোজির ব্যবহার শুরু হলো যেভাবে

ইমোজির ব্যবহার শুরু হলো যেভাবে - ছবি : সংগৃহীত

 

অনেক বছর ধরে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগের একটি বড় মাধ্যমে পরিণত হয়েছে নানা ধরনের ইমোজি। আজকাল ইমোজি পাঠানোর মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি, প্রতিক্রিয়া কথা না বলে সামনের মানুষকে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। অনেকেই মেসেজে কথা বলার সময় বেশি টাইপ করতে চান না। তাদের জন্য ইমোজির ব্যবহার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ইমোজি সাধারণত ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটারসহ বেশকিছু সোশ্যাল মাধ্যমে এর সুবিধা পাওয় যায়। প্রতি বছর ১৭ জুলাই বিশ্ব ইমোজি দিবস পালন করা হয়। এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের কথোপকথনের মধ্যে ইমোজি ব্যবহারের প্রচার।

প্রতি বছর নতুন নতুন ইমোজি তৈরি করে ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম। তার একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়। এরপর অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়। অনুমোদনের জন্য আসা ইমোজিগুলোতে ভোট প্রক্রিয়া চলে। সেই সদস্যদের মধ্যে থাকে নেটফ্লিক্স, অ্যাপেল, ফেসবুক, গুগল, টিন্ডারসহ আরো অনেক সংস্থার কর্মকর্তারা। অনুমোদন পাওয়া গেলে ইমোজিগুলো বাজারে ছাড়া হয়। এরপর সেগুলোকে অ্যান্ড্রয়ড ও আইওএস মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমগুলো তাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের জন্য প্রেরণ করে।

ইতিহাস
১৯৯৯ সালে, জাপানের একটি মোবাইল অপারেটিং সংস্থায় কর্মরত শিগাকাট কুরিতা নামের এক ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ইমোজি তৈরি করেছিলেন। মোট ১৭৬টি ইমোজি তৈরি হয়েছিল। যা মোবাইল ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস আই-মোডের মুক্তির কথা ভাবা হয়েছিল। এরপর ২০১০ সালে ইউনিকোড ইমোজি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক ও টুইটার ওই পথ অনুসরণ করে। সম্প্রতি ইউনিকোড ৬.০ ভার্সেনের মোট ৯৯৪টি চরিত্রের ইমোজি তৈরি করেছে। যার মধ্যে পরিবার, হৃদয়, প্রাণী, দেশ, পতাকা, জামাকাপড়, ঘড়ি, খাবার ও শহরের প্রতীক উপলব্ধ রয়েছে।

তাৎপর্য

২০১৪ সালে ইমোজিপিডিয়ায় প্রতিষ্ঠাতা জেরেমি বুর্গ ১৭ জুলাই দিনটিকে বিশ্ব ইমোজি দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেন। এই দিনেই ইমোজিপিডিয়ায় প্রতিষ্ঠা করা হয়।

গত বছর, ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম থেকে মোট ১১০টি ইমোজি প্রকাশ করা হয়েছে। য়ার মধ্যে রয়েছে কান্নার সাথে হাসি যুক্ত মুখ, ট্রান্সজেন্ডার ফ্ল্যাগ, বাবল টি, সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর ইমোজি।

সূত্র : নিউজ ১৮

 কোন খাবার কত দিন নিরাপদ ফ্রিজে?

বর্তমান দ্রুতগতির জীবনে আমাদের অবসর ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। বাড়ি, অফিস বা কাজের চাপ থেকে একটু রেহাই পেয়ে হয়তো ঠিকঠাক খাওয়ার সময়ও করে উঠতে পারছি না আমরা। তারপর যদি কেউ কর্মরতা হন, তা হলে তো কথাই নেই, চাপ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তাই অনেকেই এখন খানিকটা অবসর সময় পেলেই রান্নাবান্না সেরে রেফ্রিজারেটরে তুলে রাখেন। ওই খাবার চলতে থাকে বেশ কয়েক দিন। এতে একদিকে সময়ও বেঁচে যায় আবার সময় মতো খাবারও পাওয়া যায়। সার্বিকভাবে বলা চলে, রেফ্রিজারেটর ছাড়া বর্তমানর সমাজ কল্পনাই করা যায় না। পারিবারিক জীবনের পুরো ব্যবস্থাটিই এখন রেফ্রিজারেটরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে যদি বলা হয়, তবে বেশি বলা হবে না।

কিন্ত এই লাইফস্টাইলে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের স্বাস্থ্য। ফ্রিজে তুলে রাখা যে সব খাবার আমরা প্রতিদিন খাই, তা আদৌ কতটা সুরক্ষিত? আর যদি হয়েও থাকে তাহলে ঠিক কতক্ষণ তা ফ্রিজে রাখা যেতে পারে? এই সমস্ত খাবার অজান্তেই আমাদের শরীরের কোনো ক্ষতি করে দিচ্ছে না তো? মনের মধ্যে যদি কখনো এইরকম প্রশ্ন এসে থাকে, তাই কিছু তথ্য দেয়া হলো। ফ্রিজে তুলে রাখা খাবার কতটা সময় ভালো থাকতে পারে জেনে নিন।

চেষ্টা করতে হবে, রান্না করা ভাত দু’দিনের মধ্যে খেয়ে নিতে। ফ্রিজ থেকে বের করে গরম করতে যাওয়ার আগে অন্তত কিছুক্ষণ রুম টেম্পারেচারে রাখতে হবে।

রান্না করা ডাল দু’দিনের মধ্যে খেয়ে নেওয়াই ভালো। এর বেশি রাখলে ওই ডাল থেকে কখনো কখনো পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।

কাটা ফল বা সবজি ফ্রিজে খুব বেশি দিন না রাখার চেষ্টা করতে হবে। একান্তই প্রয়োজন হলে এয়ারটাইট কনটেইনারে রাখতে হবে।

ফ্রিজে রাখা কাটা পেঁপে ছয় ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে।

কাটা আপেল চার ঘণ্টার বেশি রাখবেন না। এর বেশি থাকলে বিপত্তি বাড়তে পারে।

এগুলো ছাড়াও চেরি সাত দিনের জন্য রাখা যেতে পারে, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ও ব্ল্যাকবেরি ছয় সপ্তাহের জন্য, লেবুজাতীয় ফল এক থেকে তিন সপ্তাহের জন্য আঙুর সাত দিনের জন্য ফ্রিজে রাখায় অসুবিধে নেই।

গোটা তরমুজ প্রায় দু’সপ্তাহের জন্য রাখতে যেতে পারে, কিন্তু কাটা হলে দুই থেকে চার দিনের মধ্যে খেয়ে নেওয়াই ভালো।

আনারস রাখা যেতে পারে পাঁচ-সাত দিনের জন্য, কিন্তু চেষ্টা করতে হবে বিনস্‌জাতীয় কিছু থাকলে তা যেন চার দিনের বেশি ফ্রিজে না থাকে।

এছাড়াও কর্ন দু’দিনের জন্য, বেগুন সাত দিন, মাশরুম এক সপ্তাহের বেশি রাখা ঠিক নয় ৷ এই নিয়ম না মানলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে ।

সূত্র : নিউজ ১৮

 

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us