ডায়ানার পরিণতি হবে মেগানের!

ডায়ানার পরিণতি হবে মেগানের! | Jan 15, 2020 05:33 pm
মেগান ও ডায়ানা

মেগান ও ডায়ানা - ছবি : সংগ্রহ

 

কী হচ্ছে ব্রিটিশ রাজপরিবারে? প্রিন্স হ্যারি আর মেগান মার্কেলের রাজপ্রাসাদ ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারটা ঝুলিয়ে রাখলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। যদিও তার কথাতেই ইঙ্গিত পরিষ্কার হ্যারি ও মেগান, ‘‌ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ সাসেক্স’‌–কে খুব বেশি দিন আর ধরে রাখা যাবে না রাজকীয় প্রথা ও আনুষ্ঠানিকতার বৃত্তে। তাদের দেখা যাবে না বিভিন্ন সরকারি সমাবেশে রাজপরিবারের যে আলঙ্কারিক উপস্থিতি, সেখানে, রানির এক পা পিছনে, দাদা প্রিন্স উইলিয়াম আর ভাবি কেট, ‘‌ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ কেমব্রিজ’‌–এর সঙ্গে একই সারিতে। বাকিংহাম প্রাসাদে কানাঘুষো, পরলোকগত প্রিন্সেস ডায়নার দুই ছেলের মধ্যে একেবারেই বনছে না।

এবার ব্যাপারটা গুরুতর। বড় ভাই উইলিয়াম নাকি আড়ালে রীতিমত বড় ভাইগিরি করেন হ্যারির ওপর। ওদিকে ফ্যাশন আর গ্ল্যামারের দুনিয়া থেকে আসা মেগানকে নাকি দু’‌চক্ষে দেখতে পারেন না ‘‌সাধারণ, চাকরিজীবী মধ্যবিত্ত পরিবার’‌ থেকে আসা বড় জা কেট। আর সব থেকে বড় কথা, রাজপরিবারের আচার, আড়ম্বরে স্রেফ হাঁফিয়ে উঠেছেন হ্যারি–মেগান। ফলে রানি এলিজাবেথ কতকটা বাধ্য হয়েই ওদের দুজনকে অনুমতি দিয়েছেন বছরের কিছুটা সময় হ্যারির শ্বশুরবাড়ির দেশ কানাডাতেও কাটাতে। এই সম্মতি দেয়ার কথা ঘোষণার সময় রানি বলেছেন, নাতি–নাতবউ নতুনভাবে শুরু করতে চাইছে, নিজেদের আলাদা জীবন চাইছে— ওদের এই ইচ্ছেয় তার পূর্ণ সম্মতি এবং সমর্থন আছে। কিন্তু তিনি এটাও চান যে, তার পাশাপাশি রাজপরিবারের পূর্ণ সময়ের সক্রিয় সদস্য হিসেবেও ওরা যেন বহাল থাকে। আর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হবে, সেটা সময়ই বলবে।

হ্যারি–মেগানের রাজপ্রাসাদ ছাড়ার ব্যাপারটা এতই গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে এই সোমবার ওদের নিয়ে রানিকে আলোচনায় বসতে হয়েছিল। সান্ড্রিংহ্যাম প্রাসাদের সেই আলোচনায় প্রিন্স অফ ওয়েলস আর ডিউক অফ কেমব্রিজ, অর্থাৎ উইলিয়াম–হ্যারির বাবা, রানির বড়ছেলে চার্লস এবং বড় নাতি উইলিয়ামকেও থাকতে বলেছিলেন রানি। সেই আলোচনা নাকি খুব ‘‌গঠনমূলক’‌ হয়েছে। রাজকীয় ঘোষণায় জানিয়েছেন রানি। কিন্তু গঠনমূলক হলেও, আসলে রাজপরিবার ভাঙছে। আরো একটা অভিনব, প্রায় বৈপ্লবিক ঘোষণা করে বসেছেন হ্যারি ও মেগান যে, তারা এর পর থেকে নিজেদের খরচ নিজেরাই চালাতে চান। ব্রিটিশ জনগণের করের টাকায় আর বাঁচতে চান না! রাজভক্ত‌ গ্রেট ব্রিটেনে, আড়ালে–‌আবডালে যে কথাটা প্রায়ই শোনা যায় যে, কী দরকার এই আলঙ্কারিক রাজতন্ত্র টিকিয়ে রেখে, কেন সরকারি খরচে এই সাদা হাতি পোষা— সেই কথাটাই রাজপরিবারের কোনও সদস্য এভাবে খোলাখুলি বলে দিচ্ছেন, এ কোনও অংশে বিপ্লবের থেকে কম নয়। কিন্তু কী করা যাবে!‌ তিনি নিয়ম মেনে চলতে অভ্যস্ত, সভ্য–ভদ্র প্রিন্স উইলিয়াম নন, তিনি বরাবরের বেহিসেবি, উচ্ছৃঙ্খল, বেপরোয়া হ্যারি। রাজ–নিন্দুকেরা বলে, অনেকটা ওর মায়ের মতো!

গত বুধবার হ্যারি–মেগানের আচমকা এই দোকলা চলো রে–র ঘোষণা রাজভক্তদের রীতিমতো চমকে দিয়েছে। ওরা রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, রাজপ্রাসাদেই আবদ্ধ না থেকে বছরের কিছু সময় ওরা উত্তর আমেরিকায় থাকতে চান। এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে চান। রাজপরিবারের আর কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই এই ঘোষণা করলেও ওরা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস দুজনের মধ্যে বার বার এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিজেরা আলাদা ভেবেছেন বিষয়টা নিয়ে। তার পরেই এই যৌথ সিদ্ধান্ত।

এবং এই প্রসঙ্গে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন হ্যারি। যে রাজকীয় আনুষ্ঠানিকতা ও আড়ম্বর ছাড়াও, অষ্টপ্রহর সংবাদ মাধ্যমের নজরবন্দি থাকাটা অসহ্য হয়ে উঠেছে। তার ভয় হয়, কোনো দিন না বউয়ের অবস্থাও মায়ের মতো হয়। ডায়নার মতো মেগানকেও না সংবাদ মাধ্যমের খবর–‌শিকারের বলি হতে হয়!‌
সূত্র : আজকাল‌‌


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us