কোভিড-১৯ হবে পঞ্চম করোনাভাইরাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক | May 30, 2020 02:55 pm
করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাস - সংগৃহীত

 

আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তবে কি হাম, এইডস বা চিকেন পক্সের মতো স্থানীয় ভাইরাসে পরিণত হতে চলেছে করোনা? বিশেষজ্ঞরা তেমনই সতর্কবাণী শুনিয়েছেন। তারা বলেছেন, ভ্যাকসিন এলেও করোনা বিলীন হবে না। ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও ব্যবহার শুরুর পরেও হয়তো বছরের পর বছর কোভিড-১৯ থেকে যাবে এবং সংক্রমণ ঘটাতে থাকবে।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিডেমিওলজিস্ট এবং বিবর্তনমূলক জীববিজ্ঞানী সারাহ কোবেই বলেন, এই ভাইরাস এখানেই থাকবে। এখন প্রশ্ন, আমরা কীভাবে এর সঙ্গে নিরাপদে বাস করতে পারব? সংক্রামক করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনা, ধারাবাহিক প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সমন্বয় ও সহযোগিতা প্রয়োজন। আর এই প্রচেষ্টার জন্য দরকার সময়, অর্থ এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক সদিচ্ছা। ভাইরাসকে বিদায় জানানো যদি আদৌ সম্ভব হয়, তাহলে তা সময়সাপেক্ষ।

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, করোনা হয়তো চিরতরে নির্মূল হবে না। এইচআইভি ভাইরাসের মতো কোভিড-১৯ রোগ সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাস স্থানীয় ভাইরাস হয়ে থেকে যেতে পারে। তাই বিশ্বজুড়ে প্রতিটি মানুষকে এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করেই বেঁচে থাকা শিখতে হবে। কবে নাগাদ এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বর্তমানে চারটি করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। যেগুলোর কারণে সাধারণ ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা যায়। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, কোভিড-১৯ এই তালিকায় পঞ্চম ভাইরাস হিসেবে স্থায়ীভাবে থেকে যাবে। শরীরের ইমিউনিটি বা অনাক্রম্যতা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই ভাইরাসের কার্যকারিতা কমতে শুরু করবে। ফলে আমাদের শরীর এই ভাইরাসের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করবে।

করোনা মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও, কোনও দেশই তা পুরোপুরি ঠেকাতে পারছে না। যার জেরে ধীরে ধীরে সব দেশই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পথে হাঁটছে। এই পরিস্থিতিতে সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রাক্তন অধিকর্তা টম ফ্রিডেন বলেছেন, বর্তমানে আমরা যা করছি তা হল, স্বল্প মেয়াদে ঝাঁকুনি দেয়ার মতো কাজ। সবাই আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন, আমাদের কী কাজ করতে হবে? কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে, একটা কোনও নির্দিষ্ট কাজ নয়, করোনার বিরুদ্ধে আমাদের একটা মজবুত কৌশল গ্রহণ করে তার ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এদিকে, ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাতালি ডিন বলেছেন, মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার কথা বলছে। কিন্তু করোনা ভাইরাস নিয়ে ভবিষ্যত জীবনযাপন কখনই স্বাভাবিক হবে না যেহেতু আমরা টিকে থাকার জন্য ভিন্ন উপায় বের করতে পেরেছি এবং দেখেছি তা কাজ করছে, তাই আমরা সমাজ ও জীবনযাত্রা পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছি।

সূত্র : বর্তমান

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us