উঠতি বয়সের দোষ!

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন | Oct 11, 2020 05:35 pm
উঠতি বয়সের দোষ!

উঠতি বয়সের দোষ! - ছবি সংগৃহীত

 

স্কুলের গণ্ডি এখনো পার হয়নি এমন উঠতি বয়সের কিশোররা সামাজিক নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে উদ্বেগজনক হারে। এদের বেশির ভাগের বয়স ১৩ থেকে ১৭ এর মধ্যে। বাংলাদেশের শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচের সবাই ‘শিশু’। চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, হত্যা, প্রেমসংক্রান্ত বিরোধ, আধিপত্য বিস্তারে মারামারি, উচ্চস্বরে হর্ন বাজিয়ে মোটরবাইক চালনা, ইভটিজিং, নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়ার জন্য সন্ধ্যার পর সশস্ত্র মহড়া, মাদক সেবন ও বিপণন, ইত্যাদি এদের কাজ। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। কেবল রাজধানীতেই পঞ্চাশের অধিক গ্যাং সক্রিয়। এদের নিয়ন্ত্রণ করে এলাকার রাজনৈতিক দলের ‘বড় ভাই’য়েরা। প্রতিটি গ্যাংয়ের আলাদা আলাদা পরিচিতি ও নাম রয়েছে। যেমন- নাইন স্টার, ডিসকো বয়েজ, বিগ বস, নাইন এমএম, টাইগার গ্রুপ, নয়ন গ্রুপ, মিশন গ্রুপ, একে ৪৭, ফাইভ স্টার, তালাচাবি ইত্যাদি।

পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালে কিশোর অপরাধের ঘটনায় সারা দেশে মামলা রেকর্ড হয়েছে এক হাজার ৫৯৬টি। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ১৮৪। এ হিসাবে এক বছরে কিশোর অপরাধের মামলা বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশের বেশি। ২০১৬ সালে দেশে কিশোর অপরাধের ঘটনায় মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ১৭৯ জন। ওই সময়ে কিশোর অপরাধ-সংক্রান্ত এক হাজার ৪২২টি মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এতে মোট আসামির সংখ্যা এক হাজার ৮৬৭ (সমকাল, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭)। প্রতি বছর কিশোর অপরাধী ও মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতে দেশের সচেতন মানুষ ও অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

কিশোর গ্যাং কালচার আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের একটি পার্শ্বচিত্র। এর মাধ্যমে পরিবার ও সমাজে হতাশা, আতঙ্ক ও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কিশোররা যেহেতু দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ তাদের অপরাধপ্রবণ হওয়া মানে, সমাজ ও জাতি অন্ধকারের দিকে ধাবিত হওয়া, উজ্জ্বল সম্ভাবনা বিনষ্ট হওয়া। ২০১৮ সালের ৬ জানুয়ারি ঢাকার উত্তরায় দুই গ্যাংয়ের অন্তর্দ্বন্দ্বে ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র আদনান কবিরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বছর দুয়েক আগে রাজধানীর মিরপুরের ৬ নম্বরের এ ব্লকের ৬ নং সড়কে দুই কিশোর গ্রুপের মারামারিতে প্রাণ হারায় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র মাহিদুল। গত ২৪ আগস্ট বগুড়ায় জুয়ার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে ২০টি ঘুমের বড়ি খাইয়ে খুন করে দুই কিশোর। তবে একটি স্মার্ট ফোন, একটি সাধারণ ফোন, নগদ টাকা ও কিছু গহনা নিয়ে পালানোর সময় এক কিশোর জনগণের হাতে ধরা পড়ে যায়। ২০১৯ সালে কলেজপড়–য়া এক তরুণীকে অপহরণের চেষ্টায় কিশোর গ্যাংয়ের সাতজন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। তারা রংপুরের হারাগাছ এলাকায় গড়ে ওঠা ‘টাইগার গ্রুপ’ নামে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।

পারভেজ নামে এক বখাটে কিশোর গত এপ্রিলের শেষের দিকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় রেদোয়ান হোসেন নামে এক প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী স্মৃতি আক্তার ফাতেমা এবং তার দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে হত্যা করে। হত্যার আগে সে মা ও দুই মেয়েকে ধর্ষণ করে। সে কিশোর গত ২০১৮ সালে একই এলাকায় নীলিমা নামে সাত বছরের এক মেয়েকে ধর্ষণ করে একই কায়দায় হত্যা করেছিল। তখন তার বয়স ১৭ বছর হওয়ায় কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে আবারো নৃশংস এই অপরাধ ঘটালো। ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট এক লোমহর্ষক কিশোর অপরাধ গোটা দেশকে হতবিহ্বল করে দেয়, রাজধানীর চামেলীবাগে নিজের বাসায় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যা করে তাদেরই কিশোরী মেয়ে ঐশী রহমান। ক্রমান্বয়ে কিশোর অপরাধ সামাজিক ব্যাধিতে রূপান্তরিত হয়েছে।

সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, পরিবার কাঠামোর পরিবর্তন, শহর ও বস্তির ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ, দারিদ্র্য, ক্ষুধা, সমাজজীবনে নৈরাজ্য, বৈষম্য, পিতা-মাতার বিয়েবিচ্ছেদ, আশাভঙ্গের বেদনা, নৈরাশ্যের অন্ধকার, পারিবারিক তদারকির অভাব, পর্নোগ্রাফির আসক্তি, বিদেশী সংস্কৃতির বাঁধভাঙা জোয়ার, টিকটক ও লাইকি অ্যাপের ব্যবহার, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার, রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কিশোরদের ব্যবহার করা কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য কারণ। অনেক সময় পেশাদার খুনি ও ভয়ঙ্কর অপরাধীরা নিজেদের স্বার্থে কিশোরদের ব্যবহার করে থাকে। এভাবে কিশোররা ধীরে ধীরে অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠে। যেসব কিশোর অপরাধী পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে তাদের কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে অনেকেরই জীবন বিড়ম্বিত। বড় হয়েছে ফুটপাথে ও রেল স্টেশনে। আর যারা বাসাবাড়ি, কলোনি ও ফ্ল্যাটে বড় হয়েছে তাদের অনেকেই মা-বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত। মা-বাবার মধ্যে বনিবনা নেই। তাদের ঝগড়া, কলহ ও কথা কাটাকাটি নিত্যদিনের চিত্র। এগুলো কিশোর মনে ছায়া ফেলে। কিশোর অপরাধীদের মধ্যে একেবারে নিরক্ষর যেমন আছে, তেমনি আছে ‘এ’ প্লাস পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীও। পুলিশের ভাষ্য মতে, ঢাকার ৯৯টি খুনের মামলায় তিন শতাধিক কিশোর জড়িত।

শিশু অভিযুক্তের বিচারের জন্য বর্তমানে প্রত্যেক জেলায় রয়েছে শিশু আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে শিশু আদালতের দায়িত্বে রয়েছে। বাংলাদেশ শিশু আইন ২০১৩-এর ধারা ৫৯ অনুযায়ী, এই আইনের অধীনে সরকার পর্যাপ্ত সংখ্যক কিশোর উন্নয়নকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য। কিশোর অপরাধীকে শাস্তি দেয়া যাবে কি না, এ নিয়ে আইন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। অনেকে মনে করেন, কিশোর অপরাধীকে দোষী সাব্যস্ত করে আটকাদেশ দেয়া যাবে; কোনো প্রকার শাস্তি দেয়া যাবে না।’ আসলে শাস্তি দেয়া যাবে। শিশু আইনের ৫১(১) ধারার প্রথমে উল্লেখ করা আছে, কোনো শিশুকে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন বা কোনো প্রকার কারাদণ্ড দেয়া যাবে না। তবে শর্ত থাকে, অপরাধের প্রকৃতি যদি খুব গুরুতর হয়, কিশোর যদি জঘন্য বা মারাত্মক অপরাধ করে, শিশু আইনে প্রদত্ত অন্যান্য শাস্তি যদি আদালত পর্যাপ্ত মনে না করেন, তাহলে কিশোর অপরাধীকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দিতে পারেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ৯(৩) ধারার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন (মো: আকবর হোসেন মৃধা, সাবেক জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, প্রথম আলো, ৪ মার্চ-২০১২)। দেশে বর্তমানে প্রায় ৫০ হাজার মামলা শিশু আদালতগুলোতে বিচারাধীন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষক শেখ তৌহিদুল ইসলামের মতে, ‘অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কিশোররা অপরাধে জড়াচ্ছে। এক নম্বর সমস্যা হলো- তারা যা চাইছে তা-ই পাচ্ছে। চাইলেই পাওয়া যায় বলে সন্তানের আবদারের সীমা একপর্যায়ে মাত্রা ছাড়ায়। তারাও সুযোগ কাজে লাগায়।’ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের সহজলভ্যতা ও ইন্টারনেটের সুবিধা সঙ্কটকে প্রকট করে তুলেছে। তথ্য ও ছবি আদান-প্রদান করছে, মারপিটের নির্দেশ দিচ্ছে অনলাইনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও তারা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

কৈশোরে অপরাধপ্রবণতা বয়ঃসন্ধিকালের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কিশোর বয়সে কিছু দোষত্রুটি ও বিচ্যুতি দেখা দেয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে সেটা বেশি দিন চলতে দেয়া যায় না। অপরাধের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে তারা পেশাদার অপরাধীতে পরিণত হবে। বখে যাওয়া কিশোরদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব পারিবারিক শিক্ষার। মা-বাবার দায়িত্ব হচ্ছে তাদের সন্তানদের সময় দেয়া এবং কাউন্সেলিং করা। সন্তান কাদের সাথে মিশে, কোথায় যায়, কী করে, রাত কিভাবে কাটায়, কতক্ষণ ফেসবুক, ইন্টারনেট চালায় অথবা ভিডিও গেম খেলে কি না, ইত্যাদি দেখভালের দায়িত্ব পরিবারের। জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও সময়ের মূল্য তাদের বোঝাতে হবে। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে তাদের কৌতুহলী করতে হবে। কিশোরদের মাঝে যে অমিত সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে সে সম্পর্কে তাদের সচেতন করতে হবে। মনস্তাত্ত্বিক বইগুলো বিশেষ করে মনীষীদের জীবনী যারা সংগ্রাম করে বড় হয়েছেন, কিশোরদের হাতে তুলে দিতে হবে। ধর্মাচার ও ধর্মানুশীলনে কিশোরদের অভ্যস্ত করা গেলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।

কিশোর অপরাধ ঠেকাতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই। ভেঙে পড়া সামাজিক ও পারিবারিক অনুশাসনকে পুনরায় সক্রিয় করতে হবে। অপরাধী গ্রুপের নেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, মাদক ও সন্ত্রাসের কুফল সম্পর্কে নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান, শ্রেণীকক্ষে পাঠ্যসূচির বাইরে নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়া, শহর এলাকায় বিভিন্ন মহল্লায় শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনীতিবিদ, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রশাসনের সমন্বয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া এবং অপরাধপ্রবণ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ও নজরদারি জোরদার করা গেলে কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

সমাজে অপরাধী হওয়ার সুযোগ বন্ধ করতে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। গ্যাং কালচারের এই বিপথগামী তরুণদের অপরাধমুক্ত রাখতে সমাজের ইতিবাচক কাজে তাদের সম্পৃক্ত রাখতে হবে এবং এ ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি। কিশোরদের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশ এবং কলুষমুক্ত সমাজ গঠনে বিভিন্ন স্থানে কিশোর সংশোধনকেন্দ্র অথবা উন্নয়নকেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। শাস্তির পরিবর্তে সংশোধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে অপরাধী কিশোরদের সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনাই মূল লক্ষ্য হওয়া চাই। বাংলাদেশে কিশোর অপরাধ সংশোধনের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৯ সালে ঢাকায় Borstal School প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। ১৯৭৪ সালে কিশোর আদালত এবং টঙ্গীতে কিশোর সংশোধনী প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়। এ ছাড়া কিশোর অপরাধীদের সংশোধনের জন্য কিশোর হাজত, প্রশিক্ষণকেন্দ্র, প্রবেশন, প্যারোলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে।

আমাদের দেশে পর্যাপ্ত কিশোর সংশোধনকেন্দ্র নেই। বাংলাদেশের গাজীপুরে দু’টি এবং যশোরে একটি শিশু-কিশোর উন্নয়নকেন্দ্র আছে। এর মধ্যে গাজীপুরের একটি মেয়েদের জন্য। সব মিলিয়ে এই তিনটির ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৬০০ জনের। তাহলে বোঝা যায়, আটক শিশুদের বড় একটি অংশ কারাগারেই থাকে, উন্নয়নকেন্দ্রে জায়গা হয় না তাদের। উন্নয়নকেন্দ্রে পুলিশ, সমাজসেবা অধিদফতর এবং অভিভাবকরা শিশুদের পাঠিয়ে থাকেন। এমনও দেখা গেছে, আদালতের নির্দেশে কোনো কিশোরকে উন্নয়নকেন্দ্রে পাঠানোর কিছুদিন পর সে জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
অপরাধকে নিরুৎসাহিত করার ক্ষেত্রে ইমাম, খতিব আর ওয়ায়েজদের ভূমিকা রাখার দরকার রয়েছে। জুমা ও ওয়াজ মাহফিলে তারা বিষয়টি তুলে ধরে নেতিবাচক দিকগুলো বিশ্লেষণ করতে পারেন। অনেক কিশোরকে জুমার দিন মসজিদে যেতে দেখা যায়। ইমামদের কথা মানুষ শোনে ও মানে। শাসন, সোহাগ ও আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজে অপরাধকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়। অপরাধী যদি অপরাধ করে কোনো উপায়ে পার পেয়ে যায়, তাহলে সে আরো বেপরোয়া হয়ে ভয়ঙ্কর অপরাধে যুক্ত হয়ে পড়বে। এটা মানুষের মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ওমর গণি এমইএস ডিগ্রি কলেজ, চট্টগ্রাম।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us